
ওয়াশিংটন: পুরোপুরিভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়ছিল নিম্ন আদালত। উদ্বেগ বেড়েছিল জনমানসে। কিন্তু, এবার সেই গর্ভপাতের বড়ি বা অ্য়াবরশন পিল (Abortion Pill) আপাতত ব্যবহারের অনুমতি দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট (USA Supreme Court)। যতদিন পর্যন্ত গর্ভপাতের মামলা আদালতে চলবে ততদিন পর্যন্ত এই পিল ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। স্থগিতাদেশ দেওয়া হল নিম্ন আদালতের রায়ে।
কী এই পিল?
আমেরিকায় (USA) গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সিংহভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় মাইফস্টোন। যা তৈরি করে ড্যাঙ্কো ল্যাবরেটরিজ নামে একটি সংস্থা। ২০০০ সালে ওষুধটির বাণিজ্যিক ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছিল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (এফডিএ)। যৌন মিলনের পর সাধারণত যে পিলগুলি ব্যবহার করা হয় এটি সেই ধরনের পিল নয়। কেউ গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভপাত করতে চাইলে ১০ সপ্তাহের মধ্যে মাইফস্টোনের ব্যবহার করতে হয়। অন্যথায় অন্য উপায়ে গর্ভপাত করতে হয়।
এই গর্ভপাতের বড়িটির ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়েই এবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, পিল বন্ধ নিয়ে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের পর তা নিয়ে আমেরিকার রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়। পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসতে নানা মতামত। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিচারবিভাগের তরফে সুপ্রিম কোর্টে নিম্ন আদলতের রায়ের খারিজের জন্য আবেদন করা হয়। খারিজ করা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পরিস্থিতির বিচারে তা ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। এবার তাতেই সায় দিল সেদেশের শীর্ষ আদালত।
আগে কী রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত?
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ জুন এক ঐতিহাসিক রায় দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। নিষিদ্ধ হয়ে যায় গর্ভপাত। সাফ জানানো হয় গর্ভপাত মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। ১৯৭৩ সালে গর্ভপাত সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তা নিয়ে সেদেশে নাগরিক মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে বাড়তে থাকে চাপানউতর। শুরু হয় আইনি লড়াই। এখনএ সেদেশের বিভিন্ন প্রদেশের ফেডেরাল আদালতে বিচার চলছে জোরকদমে। এরইমধ্য়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আমেরিকার গুটমাকার ইনস্টিটিউট-এর একটি সমীক্ষা বলছে, ২০২০ সালে এ দেশে যত সংখ্যক গর্ভপাত হয়েছে, অর্থাৎ ৯,৩০,১৬০টি ঘটনার ৫৩ শতাংশ হয়েছে ওষুধের সাহায্যে। ২০০৮ সালে এই মাত্রা ছিল ১৭ শতাংশ ছিল।