তাইপেই: দেশীয় প্রযুক্তিতে সফল ভাবে এই প্রথম সাবমেরিন বানালো তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার সেই সাবমেরিন প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। চিনের নৌবাহিনীকে জবাব দিতে তাইওয়ানের এই সাবমেরিন বানানো নিশ্চিতভাবে একটি বড় সাফল্য। অনেক দিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে চিন। গত বছর অগস্ট মাসে আমেরিকার প্রাক্তন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এসেছিলেন তাইওয়ানে। এই সফরের পরই তাইওয়ানের উপর চিনের রক্তচক্ষু প্রদর্শন শুরু হয়। তার পর থেকে একাধিক বার তাইওয়ানের আকাশ সীমায় চক্কর কেটেছে চিনের যুদ্ধবিমান, তাইওয়ানের চারিপাশে চিনের যুদ্ধ জাহাজ ভেসে বেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের যুদ্ধবিমান তৈরি নিঃসন্দেহে ওই এলাকার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিচারে বড় ঘটনা।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে কাগে লাগিয়ে অবশেষে সেই কাজে সাফল্য এল। তাইওয়ানের কাওসিয়ুং শহরে তাইওয়ানের তৈরি ৮টি সাবমেরিন প্রদর্শিত হয়েছে। এ বিষয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “প্রচুর ঝুঁকি ছিল। চ্যালেঞ্জও কম ছিল না। সে সবকে অতিক্রম করেই তাইওয়ান প্রতিরক্ষা নীতিতে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে গেল।” তাইওয়ানের এই সাবমেরিন ২০২৫ সাল থেকে সার্ভিস দেওয়া শুরু করবে। এর আগে তাইওয়ানের কাছে মাত্র ২টি সাবমেরিন ছিল। ১৯৮০ সালে সেগুলি নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে কিনেছিল তাইওয়ান।
গত বছর ধরে নাগাড়ে তাইওয়ানকে হুমকি দিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে সাবমেরিন বানানো নিয়ে তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোশেফ ইউ বলেছেন, “চিনের সেনার থেকে যে ভাবে দিনের দিনের পর দিন হুমকি আসছে, তা ঠেকাতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এই সাবমেরিন নিশ্চিত ভাবে সে পথে কয়েক কদম এগিয়ে দিল। এই সাবমেরিন তাইওয়ানের নিরাপত্তাকে জোরদার করবে।” তাইওয়ানের সাবমেরিন আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সে দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্রসঙ্গত, তাইওয়ান সবথেকে বেশি অস্ত্র আমদানি করে আমেরিকা থেকেই।