Kabul New Governor: কাবুলের নয়া গভর্নর হচ্ছেন ভারতীয় দূতাবাসে হামলাকারীই, ঘোষণা তালিব সরকারের
Taliban Appoints Kabul Governor: কাবুলে নতুন গভর্নর হিসাবে নিয়োগ করা হল কারি বারিয়ালকে। কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যে হামলা চলেছিল, তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বারিয়ালই।
কাবুল: অবশেষে রাজধানী শহরের গভর্নর (Governor) নির্বাচন করল তালিবান সরকার (Taliban Government)। তিনি আর কেউ নন, কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে হামলাকারীই। তালিবান সরকারের তরফে কাবুল(Kabul)-র গভর্নর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে কারি বারিয়ালকে (Qari Baryal)। জানা গিয়েছে, তিনি আল কায়দা (Al-Qaeda) ও পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই(ISI)-র সঙ্গে যুক্ত। তালিবানের এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখছে না ভারত।
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করলেও আফগানিস্তানে ক্ষমতা হস্তান্তর ও নতুন সরকার গঠন যতটা সহজ হবে বলে মনে করেছিল তালিবান, তা হচ্ছে না। প্রায় তিন মাস হয়ে গেলেও এখনও অন্তর্বর্তী সরকার দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে তালিবানকে। ক্ষমতা দখলের কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে গভর্নর নিয়োগ করা হলেও, গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে শাসনপাট চালাতে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে পারছিল না তালিবান সরকার। অবশেষে কাবুলের গভর্নর হিসাবে বেছে নেওয়া হল কারি বারিয়ালকে।
জানা গিয়েছে, কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যে হামলা চলেছিল, তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বারিয়ালই। এই ধরনের হামলা চালানোর জন্য ইরান থেকে নিয়মিত টাকা আসত বলেই জানা গিয়েছে। তালিবান, আল কায়েদা, ইসলামিক জিহাদ ইউনিয়ন, তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি ও হিজব-ই-ইসলামি গুলবুদ্দিন সহ একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতেন তিনি, এমনটাও জানা গিয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-র সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে কাবুলে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও আত্মঘাতী বোমারুদের আনতে বিশেষ সাহায্য করতেন বারিয়াল ও তাঁর দল। এই সাহায্যগুলির প্রতিদান হিসাবেই তাঁকে কাবুলের গভর্নর পদের বসিয়েছে তালিবান, এমনটাই সূত্রের দাবি। এই নিয়ে কাবুলে হামলাকারী গোষ্ঠী থেকে দুইজনকে বড় পদ দিল তালিবান। এর আগে মোল্লা তাজ মীর জাওয়ালকে গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি পদে নিয়োগ করে তালিবান সরকার।
কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন জেলাস্তরে মোট ৪৪জন তালিবান নেতাকে নিয়োগ করা হয়, সেই সময়ই কাবুলের গভর্নর হিসাবে বারিয়ালের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়। সকলে সেই প্রস্তাবে সম্মতিও জানান। বাকি যে ৪৪ জন তালিবলান নেতাকে প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে, তারাও আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সামিল ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, তালিবানের এই নিয়োগে অসন্তুষ্ট হয়েছে ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিকে তালিবান সরকার ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দিচ্ছে, অন্য হাতে ভারতীয় দূতাবাসে হামলাকারীকেই শীর্ষ পদে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও কীভাবে তালিবান সরকারকে বিশ্বাস করা সম্ভব!