কাবুল: গুরুদ্বারে ভাঙচুর চালাল তালিবান (Taliban)। মঙ্গলবার ১৫ থেকে ১৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী বন্দুক নিয়ে কাবুল(Kabul)-র একটি গুরুদ্বারে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে মারধর করে এবং গুরুদ্বারের ভিতর ভাঙচুর চালায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা গুরুদ্বারের সিসিটিভি(CCTV)-ও ভেঙে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কাবুলে অবস্থিত কার্তে পারওয়ান (Karte Parwan) গুরুদ্বারেই গতকাল হামলা চালায় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের দুস্কৃতি। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওই দুষ্কৃতীরা গুরুদ্বারে ঢুকেই প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে মারধর করে। পরে গুরুদ্বারের ভিতরে ঢুকে সেখানে উৎসর্গ করা সমস্ত খাদ্য সামগ্রী ফেলে দেয় ও জিনিসপত্রে ভাঙচুর চালায়। গুরুদ্বারের ভিতরে ও আশেপাশে যে’কয়েকটি সিসিটিভি ছিল, তাও নষ্ট করে পালিয়ে যায় তারা।
Apparently, heavily armed Taliban stormed biggest Sikh place of worship, Gurdwara Karte Parwan, in Kabul & allegedly vandalized the Gurdwara as well. Taliban fighters also damaged the CCTV cameras. #KarteParwan pic.twitter.com/pvdC2rSPTu
— OSINT Insider (@OSINT_Insider) October 5, 2021
কাবুলের ইন্ডিয়ান ওয়ার্ল্ড ফোরামের প্রেসিডেন্ট পুনীত সিং চন্দ্রোক বলেন, “গতকাল রাতেই আমি কাবুলে হামলার খবর পাই। জানতে পারি, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তালিবানের একটি অজ্ঞাতপরিচয় দল কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে ঢুকেছিল এবং সেখানে ভাঙচুর চালিয়েছে।”
তিনি বলেন, “শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ও গুরুদ্বারে আগত ব্যক্তিরা যে অনুদান দিয়েছিল, তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আমায় জানায় যে গুরুদ্বারের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং তারপরই তারা গুরুদ্বারের ভিতরে ভাঙচুর চালায়।”
এ দিকে, ভাঙচুরের খবর পেতেই গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কী, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই গুরুদ্বার কাবুলের উত্তর অংশে অবস্থিত বলেই জানা গিয়েছে। তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সংখ্যালঘুরা হিংসার শিকার হচ্ছে বলে দাবি। নানা অধিকার কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে নির্বিচারে হত্যা, একাধিক অভিযোগ উঠেছে তালিবানের বিরুদ্ধে।
এর আগে আফগানিস্তানের পূর্বে অবস্থিত পাকিতা এলাকায় অবস্থিত গুরুদ্বারেও হামলা চালিয়েছিল তালিবান বাহিনী। সেখানে শিখদের ধর্মীয় পতাকা নিশান সাহিবকেও নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কথিত রয়েছে, পাকিতার চমকানি অঞ্চলে অবস্থিত এই গুরুদ্বারে এসেছিলেন গুরু নানক।
আরও পড়ুন: Covaxin: আর বেশিদিন অপেক্ষা নয়, আগামী সপ্তাহেই হবে কোভ্যাক্সিনের ভাগ্য নির্ধারণ, জানাল হু