আফগান নারীদের উপর জোর জুলুম শুরু তালিবানের, মেয়েদের বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে গজনি, হেরাতে
Afghanistan: দেশের দুই তৃতীয়াংশই দখলে চলে গিয়েছে তালিবানদের। ১২টি প্রদেশ দখলে নিয়েছে তারা।
কাবুল: ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের একাধিক প্রদেশকে নিজেদের দখলে নিয়েছে তালিবানরা। গজনি, হেরাত, কান্দাহার দীর্ঘতর হচ্ছে তালিকা। এরই মধ্যে আফগান মহিলাদের উপর তালিবানি অত্যাচারেরও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সন্ত্রাসী এই তালিবানরা আফগানিস্তানের মেয়েদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে বলে সে দেশেরই এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানি মেয়েদের জোর করে বিয়ে করতে বাধ্যও করছে সন্ত্রাসীদের দল।
ধাপে ধাপে গোটা আফগানিস্তানই নিজেদের মুঠোয় করছে তালিবানরা। বৃহস্পতিবারই তারা আফগানিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর গজনি দখল নেয়। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ফেলে রেখে পিছু হঠতে কার্যত বাধ্য হয় আফগান সেনারা। ইতিমধ্যেই আসরাফ ঘানির সরকারের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশ। শুক্রবার কান্দাহারও দখলের খবর সামনে আসে।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার সামরিক কার্যালয় পেন্টাগন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, তিন মাসের মধ্যেই কাবুল দখল করে ফেলবে তালিবানি শক্তি। এক মাসের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে শক্তি কায়েম করা তালিবানের লক্ষ্য। সেই রণ কৌশলেই এগোচ্ছে তারা। শহর জুড়ে এখন শুধুই তালিবানের নিশান উড়ছে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ‘তালিবানিরা যে সমস্ত এলাকা দখলে নিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবানরা। প্রাণহানি তো হচ্ছেই। সেখানকার লোকজনরা জানিয়েছেন, তালিবানরা বাড়িতে বাড়িতে বলে বেড়াচ্ছে, অবিবাহিত মহিলাদের বিয়ে করবে তারা। সেখানে রীতিমতো যৌন হিংসা চালাচ্ছে এই সন্ত্রাসী শক্তি।’
তালিবানদের মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রথম থেকেই কাঠগড়ায় পাকিস্তান। এ বার সোশ্যাল মাধ্যমেও প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও বিদ্বেষ প্রকাশ করছে আফগানবাসী। তালিবানিদের আফগানিস্তান দখল নিতে সাহায্য করছে পাকিস্তান, এই অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেই টুইটারে ট্রেন্ডিং একটিই শব্দ, #SanctionPakistan। আফগানবাসীর অভিযোগ, জঙ্গির আঁতুড়ঘর পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।
দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকেই ক্ষমতা হারানোয় আফগান প্রশাসনের একমাত্র ঠাঁই হয়ে দাঁড়িয়েছে কাবুল। দেশের দুই তৃতীয়াংশই দখলে চলে গিয়েছে তালিবানদের। ১২টি প্রদেশ দখলে নিয়েছে তারা। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় আমেরিকা, ব্রিটেনের তরফে নিজেদের প্রতিনিধিদের দেশে ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আমেরিকার তরফে তিন হাজার সেনা পাঠানো হচ্ছে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে আটকে থাকা আধিকারিকদের উদ্ধারের জন্য। অন্যদিকে, ব্রিটেনের তরফেও ৬০০ সৈন্য পাঠানো হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য। আরও পড়ুন: বিয়ের পর জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ‘বেআইনি নয়’, পর্যবেক্ষণ মুম্বই আদালতের