নয়া সিদ্ধান্ত তালিবানের। ছবি:PTI
কাবুল: দেশে বাড়ছে আর্থিক সঙ্কট। তারই মধ্যে একের পর এক চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তালিবান সরকার। গত বছরের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখলের পরই একাধিক পরিবর্তন এনেছিল তালিবানিরা (Taliban)। নিরাপত্তার নামে মহিলাদের একের পর এক অধিকার কেড়ে নেওয়া শুরু হয়েছিল। এবার নারী কল্যাণ মন্ত্রকই বন্ধ করে দেওয়া হল। বুধবারই আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিবান সরকার চিরতরে নারী কল্যাণ মন্ত্রক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার থেকে মহিলাদের সমস্যা, অধিকারের জন্য আলাদা করে কোনও মন্ত্রক আর থাকবে না। শুধু নারী কল্যাণ কমিশনই নয়, পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল বা নিরাপত্তা কাউন্সিল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই মন্ত্রকগুলি বিগত বছর ধরে কাজ করে চলেছে।
সম্প্রতিই আফগান সরকারের বাজেটে জানানো হয়েছিল যে চলতি আর্থিক বছরে দেশে প্রায় ৪৪০ কোটি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথম তালিবান সরকারের তরফে বাজেট পেশ করা হল। এরপরই দেশের খরচ কমাতেই এই মন্ত্রক ও দফতরগুলি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তালিবান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মানবাধিকার কমিশন, হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন ফর ওভারসিয়িং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য কন্সটিটিউশন ও নারী কল্যাণ মন্ত্রক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তালিবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র ইন্নামুল্লাহ সমনগানি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানান, তালিব সরকার মনে করছে যে এই মন্ত্রকগুলি আর প্রয়োজনীয় নয়। সেই কারণে বাজেটেও এই মন্ত্রকগুলির জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। এবার পুরোপুরি এই মন্ত্রকগুলি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয়, তবে পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্ত বল করা হতে পারে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সমস্ত মহিলাদেরই হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনসমক্ষে পুরুষসঙ্গী ছাড়া মহিলাদের চলাফেরার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।