
করাচি: একদিকে চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে দেশ, এর মধ্যেই একের পর এক জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। এবারও জঙ্গিদের নিশানায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে একেবারে করাচি পুলিশের সদর দফতরে হামলা চলল। একেবারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের সদর দফতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। তারপর দু-পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। যদিও হামলাকারীদের দলে ঠিক কতজন সদস্য রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের সদর দফতরে জঙ্গি হামলার খবরটি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধ প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী সারজিল ইনাম মেমান। প্রতিবেদনটি লেখার শেষ সময় পর্যন্ত, এই হামলায় ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন রাতে হঠাৎ করেই করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসে ঢুকে পড়ে ৮-১০ জন সশস্ত্র হামলাকারী। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, পুলিশ এবং হামলাকারীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে করাচি পুলিশ। পুলিশের ওই সদর দফতরের পাশেই রয়েছে পুলিশের আবাসন। সেখানে তাদের পরিবারও থাকেন। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হামলাকারীদের কাছে হ্যান্ড গ্রেনেড এবং স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ছিল বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, এই হামলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে পুলিশ আধিকারিকদের একটি পাঁচতলার আবাসন খালি করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
যদিও ঠিক কারা হামলা চালাল পুলিশের সদর দফতরে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই হামলার পিছনে পাকিস্তানি তালিবানরা থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। কেননা এর আগেও বহুবার পুলিশকে নিশানা করে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান তালিবানি জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে হামলার নেপথ্যে যে সংগঠনই থাকুক না কেন এই ঘটনা কোনভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ। অবিলম্বে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাক পাঞ্জাব প্রদেশের গোয়েন্দা কর্তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।