টেক্সাস: টেক্সাসের ইউভ্লেডের এলিমেন্টরি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন শিশু ও ২ জন প্রাপ্তবয়স্কের। আহতও হয়েছে অনেকে। আর সেই ভয়াবহ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। সেই ঘটনার কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর আবারও নতুন করে সামনে আসছে বেশ কিছু তথ্য, যেখানে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ। অন্তত ২০ জন পুলিশ অফিসার স্কুলের দিকে গেলেও বাইরের করিডরে নাকি অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। আর তাতেই ঘটে যায় বিপদ। জানা গিয়েছে,পুলিশ পাঠানোর জন্য বারবার আর্জি জানিয়েছিল পড়ুয়ারা। ক্লাসরুমে আটকে পড়ে পড়ুয়ারা একাধিকবার ৯১১ নম্বরে ফোনকে সাহায্য় চাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ সময়ে পৌঁছয়নি। পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে গেলে হয়ত এত বড় ঘটনা ঘটত না বলেই মনে করছেন অনেকে।
টেক্সাসের জনসুরক্ষা সংক্রান্ত দফতরের প্রধান স্টিভেন ম্যাকক্রো সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ওই স্টেটের পুলিশ প্রধানই কমান্ডার হিসেবে ছিলেন ঘটনাস্থলে। আর তিনি ভেবেছিলেন বন্দুকবাজ সালভাদোর ব়্যামোস পুলিশের ফাঁদে পড়ে গিয়েছে, আর পড়ুয়াদের কোনও বিপদ নেই। আর সেটা তিনি ভুল ভেবেছিলেন বলেই মন্তব্য করেছেন ম্যাকক্রো। বন্দুকবাজ স্কুলে প্রবেশ করার পর থেকে পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হওয়ার মধ্যে সময়ের ফারাক ৯০ মিনিট। আর এই সময়ে ঠিক কী কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে টেক্সাসের পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে ওই বন্দুকবাজ কেন এমন কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
তদন্তে দেখা গিয়েছে বন্দুকবাজকে যখন গুলি করে মেরে ফেলে পুলিশ, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৪৮ মিনিট তাঁরা বাইরের করিডরে অপেক্ষা করছিলেন। ততক্ষণে কতজন পড়ুয়াকে মারা হয়েছে,তার হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। ওই সময়ের মধ্যে পড়ুয়ারা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বারবার ৯১১ নম্বরে ফোন করছিলেন। তাই ঠিক কতটা দেরি করেছিল পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ২৮ মিনিটে ওই বন্দুকবাজ স্কুলে প্রবেশ করে। এর ১২ মিনিট পর সে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। আর ঠিক ১২ টা ৫৮ মিনিটে পুলিশ জানায় যে বন্দকবাজকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। মাঝে কেন ৯০ মিনিট সময় লেগে গেল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।