AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Thailand PM Suspend: নজিরবিহীন রায়! আদালতের নির্দেশে অপসারিত প্রধানমন্ত্রী

Thailand PM Suspend: কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে সীমান্তবিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় শিনাবাত্রাকে। দুই রাষ্ট্রনেতা, একজন প্রাক্তন, অন্যজন বর্তমানে। দু'জনের ফোন কলের রেকর্ডিং এখন থাইল্যান্ডের বাসীর কাছে মুচমুচে চর্চার বিষয়।

Thailand PM Suspend: নজিরবিহীন রায়! আদালতের নির্দেশে অপসারিত প্রধানমন্ত্রী
Image Credit: Getty Image
| Updated on: Jul 01, 2025 | 2:40 PM
Share

ব্যংকক: সাসপেন্ড প্রধানমন্ত্রী। তাও কারণ কী? একটা ফোন কল। যার জেরে গদি থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রাকে। নজির বিহীন সিদ্ধান্ত সেদেশের সাংবিধানিক আদালতের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকাপাকি ভাবে শিনাবাত্রাকে সরিয়ে দিয়েছে সেদেশের আদালত।

কিন্তু একটা ফোন কল কী এমন বলে ফেলেছিলেন তিনি? বিতর্কের সূত্রপাত অনেক দিন ধরেই। যা পরিণতি পেল এতদিন পর। জানা গিয়েছে, কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে সীমান্তবিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় শিনাবাত্রাকে। দুই রাষ্ট্রনেতা, একজন প্রাক্তন, অন্যজন বর্তমানে। দু’জনের ফোন কলের রেকর্ডিং এখন থাইল্যান্ডের বাসীর কাছে মুচমুচে চর্চার বিষয়।

ফাঁস হওয়া ফোনকলে শিনাবাত্রা কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্র্রধানমন্ত্রীকে ‘আঙ্কল’ বলেও সম্বোধন করেন। যখন দুই দেশের মধ্য়ে সীমান্তে তীব্র বিরোধ, তখন কীভাবে অন্য দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে রাষ্ট্র সংক্রান্ত গোপন তথ্য আলোচনা করছেন শিনাবাত্রা? এমনকি, যখন সেই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই থাইল্য়ান্ডেরই এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরেই সরব হয় থাইল্যান্ডের বিরোধী পক্ষ। প্রশ্ন ওঠে দুই পরিবারের বছর পুরনো সম্পর্ক নিয়ে?

উল্লেখ্য, হুন ও শিনাবাত্রার ফোন কল ফাঁস হওয়ার পর ওই দেশে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পথে নেমে পড়ে জনসাধারণ। বিরোধী, এমনকি নিজের দলের নেতা-মন্ত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শিনাবাত্রা। দাবি ওঠে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরানোর। এই সময়ই শিনাবাত্রার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতে দ্বারস্থ হন সেদেশের এক দল সিনেটর। জল অনেকটা গড়িয়ে গিয়েছে দেখে ক্ষমাও চান অপসারিত প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কাজ হয় না। বাড়তে থাকে চাপ। চলে শুনানি। অবশেষে রায়দান আদালতের। অপসারিত হলে প্রধানমন্ত্রী।