Karun Vij: ভাড়াটিয়া রেখে মাসে ৯ লক্ষ টাকা রোজগার ৩৩ বছরের করুণের, দেখতে পারেন আপনিও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Dec 09, 2023 | 4:20 PM

বাড়ি ভাড়া দেওয়াকেই নিজের প্রধান পেশা বানাননি তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে অ্যাল্পিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরি করতেন। তার পর আমেরিকায় একটি সংস্থার সেলস ম্যানেজার হিসাবে বর্তমানে কাজ করেন তিনি। কিন্তু চাকরি করার পাশাপাশি কানাডায় সম্পত্তি কেনা বন্ধ করেননি তিনি। গত কয়েক বছরে মোট ৪টি বাড়ি কেনেন তিনি। সেই সব বাড়িতে মোট ঘরের সংখ্যা ২৮।

Karun Vij: ভাড়াটিয়া রেখে মাসে ৯ লক্ষ টাকা রোজগার ৩৩ বছরের করুণের, দেখতে পারেন আপনিও
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী করুণ ভিজ
Image Credit source: Twitter

Follow Us

অন্টোরিও: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী করুণ ভিজ। ৩৩ বছরের করুণ নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আলোচনা চলছে বিস্তর। কারণ বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে তাঁর রোজগার। জানা গিয়েছে, কেবল বাড়ি ভাড়া দিয়েই প্রতি মাসে ৯ লক্ষ টাকা উপার্জন হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যবসায়ীর। সেই গল্প নিয়েই আলোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা।

কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলেন ভিজ। পড়তে গিয়ে তিনি দেখেন, কানাডার অন্টোরিওতে ছাত্রদের মধ্যে ঘর ভাড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গোটা বাড়ির তুলনায় ঘর ভাড়ার চাহিদা যে বেশি, তাও দেখেছিলেন ভিজ। তাই একটি গোটা বাড়ি কাউকে ভাড়া দেওয়ার বদলে অনেক ছাত্রকে একসঙ্গে বাড়ি ভাড়া দেওয়া লাভজনক মনে হয়েছিল তাঁর। সেই লক্ষ্যে টাকা জমানো শুরু করেন তিনি। এর পর ২০১৬ সালে তিনি কানাডায় কিনেছিলেন নিজের প্রথম সম্পত্তি। যদি ধার করেই তা কিনেছিলেন তিনি। বাড়ির মোট দামের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করেছিলেন তিনি। বাকি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। বাড়ি কেনার পরই তিনি ৭ কলেজ ছাত্রকে সেই বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন।

যদিও বাড়ি ভাড়া দেওয়াকেই নিজের প্রধান পেশা বানাননি তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে অ্যাল্পিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরি করতেন। তার পর আমেরিকায় একটি সংস্থার সেলস ম্যানেজার হিসাবে বর্তমানে কাজ করেন তিনি। কিন্তু চাকরি করার পাশাপাশি কানাডায় সম্পত্তি কেনা বন্ধ করেননি তিনি। গত কয়েক বছরে মোট ৪টি বাড়ি কেনেন তিনি। সেই সব বাড়িতে মোট ঘরের সংখ্যা ২৮। ২৮টি ঘরেই রয়েছে ভাড়া। এই ভাড়া দিয়েই মাসে ৯ লক্ষ টাকা উপার্জন হয় তাঁর। সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কেনার খরচও উঠে আসছে।

এ বিষয়ে ভিজ সিএনবিসি-কে বলেছেন, “আমি ওই এলাকার বিষয়ে জানি। এটা না বেশি দামি, না বেশি সস্তা। কানাডার সেরা পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সেখানে থাকেন। স্তাতক শেষ হওয়ার পরই আমি বাড়িমালিক হতে চেয়েছি। প্রথম সম্পত্তি কেনার সময় আলাদা উত্তেজনা ছিল। আমি ধার করতে ভালবাসি। সেই ধার যদি কাজে লাগে আমি তার পক্ষে। এই সম্পত্তি বিক্রির কথা আমি কখনই ভাবি না। প্রচুর দাম পেলেও তা আমি বিক্রি করব না।”

Next Article