Sri lanka Crisis: ১ সপ্তাহ পর ভাঙল ধৈর্য্যের বাঁধ, ঘুটঘুটে অন্ধকারেই প্রেসিডেন্টের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ জনতার

Sri lanka Crisis: বিদ্যুতের অভাবে প্রভাব পড়েছে ফোন বেস স্টেশনগুলিতেও। ফোনে অর্ধেক সময়ই কোনও কথা বলা যাচ্ছে না। কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের সময়সীমাও কমিয়ে আড়াই ঘণ্টা করে দেওয়া হয়েছে।

Sri lanka Crisis: ১ সপ্তাহ পর ভাঙল ধৈর্য্যের বাঁধ, ঘুটঘুটে অন্ধকারেই প্রেসিডেন্টের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ জনতার
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2022 | 6:58 AM

কলম্বো: ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশে অভাব দেখা দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের। ফুরিয়ে এসেছে জ্বালানি তেলও। বিগত এক সপ্তাহ ধরে এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়লেও, বৃহস্পতিবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল শ্রীলঙ্কাবাসীর। প্রায় ৫ হাজারেও বেশি মানুষ রাজধানীতে দেশের রাষ্ট্রপতির বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এখনই পদত্যাগ করা উচিত রাষ্ট্রপতির। বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আশেপাশের পরিস্থিতি। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে ডাকা হয় প্যারামিলিটারি পুলিশ বাহিনী, স্পেশাল টাস্ক ফোর্সকে। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়।

১৯৪৮ সালের পর এই প্রথম এমন চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী, কিছুই মিলছে না। জ্বালানি থেকে রান্নার গ্যাস, হু হু করে বাড়ছে সবকিছুরই দাম। এদিকে ভাঁড়ারও প্রায় খালি। গতকালই জানানো হয়েছিল, শ্রীলঙ্কায় ডিজেল শেষ হয়ে গিয়েছে। অতি সামান্য পরিমাণই পেট্রোল পড়ে রয়েছে যা দিয়ে আর এক সপ্তাহ কাজ চালানো যাবে।

ডিজেল শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় সমস্ত গণপরিবহন। অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা দেশ। প্রায় ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। লোডশেডিংয়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ছে দেশের হাসপাতালগুলিতেই। সেখানে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের অভাবে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসাও।

অন্যদিকে, বিদ্যুতের অভাবে প্রভাব পড়েছে ফোন বেস স্টেশনগুলিতেও। ফোনে অর্ধেক সময়ই কোনও কথা বলা যাচ্ছে না। কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের সময়সীমাও কমিয়ে আড়াই ঘণ্টা করে দেওয়া হয়েছে। অফিসগুলিতে অত্যাবশ্যকীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মীদেরই কেবল আসতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বাঁচাতে নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে  রাস্তাঘাটের সমস্ত আলো।

বিকেল থেকেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সরাতে যায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারী জনতা প্রেসিডেন্টের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছোঁড়ে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টের গোটা পরিবারই দেশের একাধিক শীর্ষ পদে রয়েছেন। প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষ দেশের প্রধানমন্ত্রী। ছোট ভাই বাসিল রাজাপক্ষ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: Imran Khan Speech: কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুললেন ইমরান, লুকিয়ে কোনও বিশেষ বার্তা?