AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Update: বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার আগে সীমান্ত পেরিয়ে সোজা মেঘালয়! হাদি-কাণ্ডে বড় তথ্য দিল ঢাকা পুলিশ

Osman Hadi Murder: ঢাকা পুলিশের দাবি অনুযায়ী, ভারতে অনুপ্রবেশের পরেই মেঘালয়ে গা-ঢাকা দেয় ওই দুই অভিযুক্ত। এই গোটা প্রক্রিয়ায় তাঁদের সহযোগিতা করে আরও দুই ব্যক্তি। নাম পুত্তি ও সামী। এদের দু'জনকে আপাতত গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশকর্তা নজরুল ইসলামের কথায়, 'হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর পুত্তি, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।'

Bangladesh Update: বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার আগে সীমান্ত পেরিয়ে সোজা মেঘালয়! হাদি-কাণ্ডে বড় তথ্য দিল ঢাকা পুলিশ
গ্রেফতার অভিযুক্তদের সহযোগীImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Dec 28, 2025 | 2:26 PM
Share

নয়াদিল্লি: ভারতে গ্রেফতার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যাকারীর দুই সহযোগী। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে ‘ইনফরমাল চ্যানেলে’ যোগাযোগের মাধ্য়মে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, দাবি ঢাকা পুলিশের। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। মেঘালয় সীমানা হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কোথাও একটা তাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলেই দাবি পুলিশের।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। সেই বৈঠক থেকেই এই তথ্যগুলি তুলে দিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এনএন মহম্মদ নজরুল ইসলাম। হাদির হত্যাকারীদের অগ্রগতি তুলে ধরে পুলিশকর্তা বলেন, ‘মূল অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে।’

ঢাকা পুলিশের দাবি অনুযায়ী, ভারতে অনুপ্রবেশের পরেই মেঘালয়ে গা-ঢাকা দেয় ওই দুই অভিযুক্ত। এই গোটা প্রক্রিয়ায় তাঁদের সহযোগিতা করে আরও দুই ব্যক্তি। নাম পুত্তি ও সামী। এদের দু’জনকে আপাতত গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশকর্তা নজরুল ইসলামের কথায়, ‘হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর পুত্তি, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এরপর সামী নামে আরেক সহযোগীর ট্য়াক্সিতে উঠে পড়েন ফয়জ়ল ও আলমগীর। সেই ট্যাক্সিতেই সওয়ার হয়ে তাঁরা পৌঁছে যায় মেঘালয়ের টুরায়।’

কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নাকের ডগা থেকে কীভাবে উধাও হয়ে ফয়জ়লরা। হাদি হত্য়ার পরক্ষণেই দেশজুড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি হয়েছিল। তারপরেও কীভাবে পালিয়ে গেল তাঁরা? ঢাকা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘একাধিক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, যে হত্য়ার পরেই আমিন বাজারে চলে যায় ফয়জ়ল ও আলমগীর। তারপর সেখান থেকে চলে যান মানিকগঞ্জের কালামপুরে। সেখানেই একটি ট্য়াক্সি আগে থেকে অপেক্ষা করছিল তাঁদের জন্য। তাতে চেপেই হালুয়াঘাট সীমান্তের দিকে রওনা দেয় দুই অভিযুক্ত। এরপর ফয়জ়লদের আলাপ হয় ফিলিপ এবং সঞ্জয়ের। তাঁরা ওদের দু’জনকে ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে।’

প্রসঙ্গত, হাদি হত্য়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জন। যাদের মধ্য়ে ছয় জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেই ভিত্তিতেই আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্য়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে বলেই জানিয়েছে ঢাকা পুলিশ। কিন্তু মূল দুই অভিযুক্ত কোথায়, তা এখনও জানা যায়নি।