Malaysia: কাজের ফাঁকে গিয়েছিলেন চা-জল খেতে! শাস্তির দরুন গুণতে হল ১১ কোটি টাকার জরিমানা
Malaysia: হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে এমনই সাজা শোনাল সেদেশের আদালত। ঘটনা ২০১৯ সালের। হাসপাতালেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়ে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির।
কুয়ালালামপুর: কাজের ফাঁকে ব্রেক নেন? অনেকক্ষণ কাজ করার পর একটু স্বস্তির চুমুক দিতে চায়ের দোকান কিংবা অফিসের ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে জড়ো হন অনেকেই। কিন্তু সেই ব্রেকের শাস্তি যদি হয় ১১ কোটি টাকার, তাহলে কী করবেন? এমনই ঘটেছে দুই চিকিৎসকের সঙ্গে। কাজের ফাঁকে একটু চা-জল খেতে যাওয়া দরুন শাস্তি হিসাবে গুণতে হবে ১১ কোটি টাকা।
ঘটনা মালয়েশিয়ার। হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে এমনই সাজা শোনাল সেদেশের আদালত। ঘটনা ২০১৯ সালের। হাসপাতালেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়ে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রাণ যায় তার।
কিন্তু কোনও ভাবেই কি প্রসূতির প্রাণ বাঁচানো সম্ভব ছিল না? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন মরণযন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। সেই সময় নাকি কোনও চিকিৎসকই উপস্থিত ছিলেন না তার ওয়ার্ডে। ছিলেন কয়েকজন নার্স মাত্র। কিন্তু, হাতেকলমে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামলাতে তারা একেবারে পারদর্শী নন। তুলোর ব্যবহারে প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করলেও, শেষমেশ প্রাণরক্ষা করতে ব্যর্থ হন তারা। মারা যান সেই প্রসূতি।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বেনজির রায় শোনাল মালয়েশিয়ার আদালত। কাঠগড়ায় দুই চিকিৎসককে দাঁড় করিয়ে মোট ১১ কোটি টাকার জরিমানা করলেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘সেদিন দুই চিকিৎসকের মধ্য়ে কেউই তৎকালীন পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন না। যার জেরে রক্তক্ষরণের যন্ত্রণায় প্রাণ যায় প্রসূতির। ওয়ার্ডে কর্মরত নার্সরা, সেই প্রসূতির প্রাণরক্ষার চেষ্টা চালালেও, পারদর্শীতার অভাবে ব্যর্থ হন তারা।’