
কায়রো: ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতা। অপেক্ষা যাঁর জন্য, তাঁর আসার কোনও নামগন্ধ নেই। তিনি তখন ব্যস্ত হামাসের ডেরা থেকে মুক্ত ইজরায়েলি পণবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে। অবশেষে মিশরের শার্ম এল-শেখে এসে পৌঁছন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্পের আচরণে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে অস্বস্তিতে পড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। সারা বিশ্বে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
মিশরের শার্ম এল-শেখে ‘গাজা পিস সামিট’-এ উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা। সেখানে রাষ্ট্রনেতারা ট্রাম্পের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। ট্রাম্প পৌঁছনোর পর একের পর এক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে হাত মেলান।
দেশের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী রাষ্ট্রনেতারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মেলানোর সুযোগ পান। ওই মঞ্চেই দেখা যায়, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির রূপের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। দেশের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী প্যারাগুয়ে ও নরওয়ের রাষ্ট্রনেতারা ট্রাম্পের সঙ্গে আগে হাত মেলান।
একসময় ট্রাম্প বলেন, “কোথায় ইউনাইটেড কিংডম?” তখন রীতিমতো হাত তুলে স্টার্মার বলেন, “যথারীতি আপনার পিছনে।” তারপর ট্রাম্পের দিকে কয়েক পা এগিয়ে যান। স্টার্মারকে ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, “সবকিছু ঠিক আছে?” উত্তরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খুব ভাল।” ট্রাম্প বলেন, “আপনাকে এখানে দেখে ভাল লাগল।” এরপর স্টার্মারের দিকে পিছন ঘুরে নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চের পিছন দিকে নিজের জায়গায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিশ্ব দরবারে স্টার্মারের এই ‘অপদস্থ’ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলানোর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। মধ্য প্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।