যুদ্ধ থামার একটা আশা দেখা যাচ্ছে। যদিও সবকিছু স্পষ্ট নয়। নানা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবুও আমেরিকার প্রস্তাব মেনে রাশিয়ার সঙ্গে ১ মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি
চুক্তি সই করতে রাজি হল ইউক্রেন। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর সোমবার থেকে সৌদি আরবের জেড্ডায় আবার আলোচনা শুরু করে দু-দেশ। আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি বসেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে সাইবিয়া। মধ্যস্থতায় ছিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন।
দু-দিন টানা আলোচনার পর আমেরিকা-ইউক্রেন যৌথ বিবৃতি সামনে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো যেতে পারে। এবার রাশিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা আক্রমণ বন্ধ করলে তবেই যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কার্যকর হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দু-জনেই এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রেসকে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এবার রাশিয়ার পালা। আশা করি, পুতিনও রাজি হবেন। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন যে তিনি জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে ফের স্বাগত জানাতে তৈরি। এ সপ্তাহেই পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি। আমেরিকার যাবতীয় আর্থিক ও সামরিক সাহায্য পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে ঢোকে। ট্রাম্প সেসবই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় ফের তাদের জন্য সাহায্য নিয়ে পোল্যান্ডে নামতে শুরু করেছে মার্কিন বিমান।
তবে, সবটা স্পষ্ট নয়। ধোঁয়াশা আছে। কবে থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, সেটাই বলা হয়নি। আর, রাশিয়াও জানায়নি যে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে রাজি কিনা। ক্রেমলিন থেকে শুধু বলা হয়েছে যে তারা জেড্ডার জয়েন্ট স্টেটমেন্ট ভালো করে পড়ে দেখছে। আর মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে অফিসিয়ালি বার্তা আসার জন্য অপেক্ষা করছে। মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও যুদ্ধও কিন্তু থামেনি। বরং রাশিয়া-ইউক্রেন দু-পক্ষই একে অন্যের দেশে ড্রোন হানা আরও জোরালো করেছে।