কিয়েভ: ঘরের বিদ্রোহে বিপাকে পড়েছেন পুতিন। আর তাতেই মজা পাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ওয়াগনার বাহিনী। পুতিনকেও প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিলেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান তথা পুতিনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন। ওয়াগনার বাহিনীর এই হুঁশিয়ারির পরই, শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়েছেন এবং কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন।”
ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার হামলা চালানোর বছর পার হয়ে গিয়েছে, এখনও যুদ্ধ থামেনি। রুশ সেনা যখন যুদ্ধে প্রায় হার মানতে বসেছিল, সেই মুহূর্তেই ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার বাহিনীর সাহায্য নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বাখমুট সহ একাধিক শহর দখল করে নেয় ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু সেই ওয়াগনার বাহিনীই এবার বিদ্রোহ শুরু করেছে।
We all remember how the head of Russia threatened the world in 2021. He had some ultimatums, he was trying to show a kind of strength…
The year 2022 showed that he confused – confused his illusions and the lies he was fed with strength. They in the Kremlin are capable of… pic.twitter.com/rwOhLvQJAF
— Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) June 24, 2023
ওয়াগনার বাহিনীর এই অভিযানের পরই ভিডিয়ো বার্তা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, “ক্রেমলিনের ওই লোকটা নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে এবং কোথায় লুকিয়ে রয়েছে। পুতিন নিজেই নিজের জন্য এই বিপদ তৈরি করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সবার মনে রয়েছে, কীভাবে ২০২১ সালে রাশিয়া গোটা বিশ্বকে ভয় দেখিয়েছিলেন। সবাইকে চরম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চেয়েছিলেন। ২০২২ সালে তিনি দেখালেন কতটা বিভ্রান্ত তিনি। ক্রেমলিন যে কোনও সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করতে পারে, যেকোনও ধরনের বোকামোর কাজ করতে পারে, কিন্তু প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণের এক শতাংশও করতে পারে না। ওরাই আসল সমস্যা। একদিনেই ওদের শহর হাতছাড়া হয়েছে। রাশিয়ার সমস্ত গুন্ডা, সন্ত্রাসবাদী গোষ্টীগুলিকে দেখিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার শহর দখল করা কত সোজা। এবার আর বিশ্বের কেউ চুপ থাকবে না।”