Ukraine war: গ্রেফতারি পরোয়ানার পরোয়া না করে দখলকৃত মারিউপোলে পুতিন

Putin at Mariupol: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার পরোয়া না করে মারিউপোলে পা রাখলেন ভ্লাদিমির পুতিন। দশ মাস আগে এইইউক্রেনীয় শহর দখল করেছিল রাশিয়া।

Ukraine war: গ্রেফতারি পরোয়ানার পরোয়া না করে দখলকৃত মারিউপোলে পুতিন
মারিউপোলের রাস্তায় পুতিনের হাতে স্টিয়ারিং

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Mar 19, 2023 | 2:42 PM

মস্কো: সদ্য তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই পরোয়ানাকে একরকম কোনও পরোয়া না করেই রুশ বাহিনী অধিকৃত ইউক্রেনের উপকূলীয় শহর মারিউপোলে পৌঁছে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে শহরে ৩০০ নিরপরাধ নাগরিককে হত্যার অভিযোগ করে কিয়েভ। রবিবার রুশ রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এক আকস্মিক সফরে মারিউপোলে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাদের পক্ষ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজটিতে পুতিনকে রাত্রিবেলা মারিপোলের রাস্তায় গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে। পরে তিনি একটি কনসার্ট হলে যান। গত বছরের জুনে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মারিউপোল দখল করেছিল রাশিয়া। তারপর ১০ মাস কেটে গিয়েছে। এই প্রথম মারিউপোল সফরে এলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।


তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, একটি হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে এসেছিলেন পুতিন। শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন। রুশ আক্রমণে ইউক্রেনীয় শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শহরটি কীভাবে পুনর্গঠন করা হচ্ছে সেই সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্টকে অবহিত করছেন রুশ প্রশাসনিক কর্তারা। তবে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর, আসলে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী শক্তিগুলির প্রতি বিশেষ বার্তা বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত শুক্রবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ভ্লাদিমির পুতিনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর অর্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য় ১২৩টি দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার করা যাবে পুতিনকে। তারপরই, শনিবার পুতিনকে দেখা গিয়েছিল ক্রিমিয়াতে। তারপরের দিন তিনি এলেন মারিউপোলে।


বিশেষ করে তাঁর মারিউপোল সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় এক বছর আগে মারিউপোলের একটি থিয়েটারের উপর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিল। যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে ওই থিয়েটারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু স্থানীয় মানুষ। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করে ইউক্রেন এবং বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা। শুধুমত্র এই হামলার জন্যই পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলা যায় বলে দাবি করে তারা। রাষ্ট্রপুঞ্জও বলেছে এই ঘটনা এমন এক ঘটনা, যার জন্য রাশিয়াকে আইনিভাবে দায়বদ্ধ করা যেতে পারে।