
ওয়াশিংটন: যত ইচ্ছা, তত শুল্ক- চিনের জন্য এই নীতিই অনুসরণ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের উপরে এবার ২৪৫ শতাংশ শুল্ক বা ট্যারিফ বসালেন ট্রাম্প। একলাফে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছেন তিনি। এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণায় এতটাই সংশয় তৈরি হয়েছে যে অনেকেই ভেবে বসেছিলেন যে টাইপিংয়ে হয়তো কোনও ভুল হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরেই হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে যে আমেরিকায় আমদানি করা চিনা পণ্যের উপরে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। চিনের পাল্টা শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্তেরই ফল এটা।
এই ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছিল যে ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো ভুলবশত ১৪৫ শতাংশ ট্যারিফ লিখতে গিয়ে ২৪৫ শতাংশ ট্যারিফ লিখে ফেলেছে। এমনকী, বিরক্ত সুরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “কত কর বসানো হচ্ছে, তা সঠিকভাবে জানতে আপনারা আমেরিকাকেই জিজ্ঞাসা করুন। ট্যারিফ ও বাণিজ্য যুদ্ধে কোনও বিজয়ী নেই। চিন এই যুদ্ধ করতে চায় না, কিন্তু ওদের (আমেরিকা) ভয়ও পায় না।”
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর শুল্ক নিয়ে আরও সংশয় তৈরি হয়েছে, কারণ চিনের সমস্ত পণ্যে এই শুল্ক বসছে না। চিনের সিরিঞ্জে ২৪৫ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হচ্ছে। চিনের উলের সোয়েটারে ১৬৮ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হচ্ছে।
পাল্টা চাপ তৈরি করতে চিনও ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকার পণ্যের উপরে। পাশাপাশি সামরিক ও মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত নানা পণ্যের রফতানিও বন্ধ করে দিয়েছে।