US Tariff on India: ‘আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে’, ভারতের উপরে ট্রাম্পের চাপানো শুল্ক বাতিলের দাবিতে গর্জে উঠল সাংসদরাই

US President Donald Trump: ডেবোরা রস জানান, আমেরিকার ভারতের উপরে শুল্ক বসানোয় নিজেদের দেশেই ক্ষতি হচ্ছে। নর্থ ক্যারোলিনার অর্থনীতি সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ভারতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও হাজার হাজার চাকরি ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে যুক্ত।

US Tariff on India: আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে, ভারতের উপরে ট্রাম্পের চাপানো শুল্ক বাতিলের দাবিতে গর্জে উঠল সাংসদরাই
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।Image Credit source: PTI

|

Dec 13, 2025 | 11:06 AM

ওয়াশিংটন: ট্যারিফ নিয়ে ট্রাম্পের দাদাগিরি! ভারতের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। এবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল সে দেশের আইন প্রণেতারাই। মার্কিন সংসদের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের তিন সদস্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেন। ট্রাম্প ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ডিক্লেরেশনের বলে ভারতের উপরে যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন, সেই শুল্ক বাতিলের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

মার্কিন সংসদের সদস্যরা যুক্তি দিয়েছেন যে ট্রাম্পের এই ট্যারিফ সম্পূর্ণ বেআইনি, উন্নয়ন-বিরোধী এবং এতে আখেরে আমেরিকানদের ব্যবসাতেই ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি ডেবোরা রস, মার্ক ভেসি ও রাজা কৃষ্ণমূর্তি এই প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রথমে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং  চলতি বছরের অগস্ট মাসে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপরে যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছিল, তার বিরোধিতা করা হয়েছে এই প্রস্তাবনায়।  ভারতকে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন তারা।

ডেবোরা রস জানান, আমেরিকার ভারতের উপরে শুল্ক বসানোয় নিজেদের দেশেই ক্ষতি হচ্ছে। নর্থ ক্যারোলিনার অর্থনীতি সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ভারতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও হাজার হাজার চাকরি ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে যুক্ত। এই প্রদেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যাও অনেক বেশি।

রাজা কৃষ্ণমূর্তি  বলেন যে ট্রাম্পের চড়া শুল্কের কারণে বাণিজ্য সরবরাহ শৃঙ্খল নষ্ট হচ্ছে। খর বাড়ছে, ক্ষতি হচ্ছে মার্কিন কর্মীদের। শুল্ক চাপানোয় লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে।

ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিলের উপর থেকেও ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে মার্কিন সংসদে।