টেক্সাস: মাঝআকাশে আগুন লেগে গেল বিমানের ইঞ্জিনে। বিমানের উইং থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। আর বিমানের ভিতরে প্রাণ হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন যাত্রীরা। সম্প্রতি শিহরণ জাগানো এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের (Southwest Airlines) একটি বিমান। যদিও পাইলট বিচক্ষণতা ও তৎপরতার সঙ্গে বিমানটি অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিমানযাত্রীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের উড়ান-৩০৭ গত মঙ্গলবার, ১৫ অগস্ট টেক্সাস থেকে মেক্সিকোর দিকে যাচ্ছিল। হোস্টনের পি হবি বিমানবন্দর থেকে বিমানটি রওনা দিয়েছিল। কিন্তু, আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বিমানের উইং থেকে পর্যন্ত আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে। সেই দৃশ্য বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে পাইলট তৎপরতার সঙ্গে বিমানটি হোস্টনের পি হবি বিমানবন্দরে অবতরণ করায়। ফলে যাত্রীদের হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিমানের যাত্রী, ক্রু থেকে বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যেও। বিমানে আগুন লাগার দুটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেগুলি রীতিমতো শিহরণ জাগানো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োগুলিতে কী দেখা যাচ্ছে?
একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের উইং থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। আর বিমানের ভিতর বসে প্রমাদ গুনছেন যাত্রীরা।
Gracias a los Pilotos del vuelo 307 Houston-Cancún de Southwest Airlines por regresarnos a tierra después De perder un motor Gracias !!!
Sigo tratando de entender. pic.twitter.com/rXr3UjLgZi— Ricardo Garcia (@ricardogarziia) August 16, 2023
নীচে থেকে তোলা অপর একটি ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের ইঞ্জিন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। হোস্টন বিমানবন্দরে বিমানটি নামার সময়ই রানওয়েতে কর্মরত এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড্রিউ স্যান্ডিনো ভিডিয়োটি মোবাইলে রেকর্ড করেছেন। ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরে স্যান্ডিনো বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে। যদি ইঞ্জিনটিতে সম্পূর্ণভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ত তাহলে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ত এবং বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ত।” বরাতজোরে ইঞ্জিনে সম্পূর্ণভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি বলেই জানান তিনি।
বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগার কথা প্রথমে যাত্রীদের জানানো হয়নি। এক যাত্রী বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, কোনও এয়ার পকেটে কিছু হয়েছে। কিন্তু, তারপরই আমরা বুম শব্দ শুনতে পাই এবং পোড়া গন্ধ পাই।” আরেক যাত্রী বলেন, “হঠাৎ করেই আমাদের জানানো হল, বিমানটি যে বিমানবন্দর থেকে ছাড়া হয়েছিল সেখানেই ফিরে যাচ্ছে। আমরা অসহায়ের মতো জিজ্ঞাসা করতে থাকি, এর মানে কী? এর মানে কী?”
বিমানটি শেষ পর্যন্ত নিরাপদে অবতরণ করাতে সমর্থ হন পাইলট। তারপর সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের তরফেই ওই বিমানের যাত্রীদের অন্য উড়ানে করে গন্তব্যে পাঠানো হয়। তবে বিমানটির ইঞ্জিনে কীভাবে আগুন লাগল, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।