
ওয়াশিংটন: ভারতের উপরে গোঁসা, ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। শুল্ক যুদ্ধের মাঝে এখন ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। এই ত্রি-শক্তি একজোট হতেই আবার সুর বদল আমেরিকার। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বললেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ভালই বনিবনা হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক বহু বছর ধরে একপাক্ষিক ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, নয়া দিল্লি ওয়াশিংটনের উপরে অত্যাধিক মাত্রায় শুল্ক বসাতো বহু বছর ধরে। মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কি ভারতের উপর চাপানো শুল্ক কিছুটা কমানোর পরিকল্পনা করছেন?
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। তবে বিগত বহু বছর ধরে এই সম্পর্ক একতরফা ছিল। ভারত আমাদের উপরে প্রচুর শুল্ক নিত, প্রায় বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক হারে শুল্ক নিত। ওরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করছিল কারণ আমরা কোনও শুল্ক নিচ্ছিলাম না। বোকার মতো কোনও চার্জ নিচ্ছিলাম না। ওরা পণ্য পাঠাচ্ছিল, আমাদের দেশে ভারতের পণ্য ভরিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু আমরা কোনও কিছু পাঠাতে পারতাম না কারণ ওরা ১০০ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছিল।”
ভারতের অতিরিক্ত শুল্কের উদাহরণ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্লে ডেভিডসন বাইকের উদাহরণ দেন। বলেন যে হার্লে ডেভিডসন ভারতে মোটরবাইক বিক্রি করতে পারে না কারণ ২০০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হত। তাই ওরা ভারতে গিয়ে মোটরসাইকেল প্ল্যান্ট তৈরি করেছে। এখন তাদের শুল্ক দিতে হয় না।
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি সম্পূর্ণ সত্য নয়। বিদেশি গাড়ি-বাইকে শুল্ক বসায় ভারত। এই শুল্ক এড়াতেই হার্লে ডেভিডসন হরিয়ানায় প্ল্যান্ট তৈরি করে। ট্রাম্প প্রথমবার যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখনই শুল্ক নিয়ে আপত্তি তোলায় ১০০ শতাংশ থেকে তা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তারপরও কম চাহিদা থাকায়, ২০২০ সালে হার্লে ডেভিডসন ভারত থেকে বিদায় নেয়।