
ওয়াশিংটন: আলাস্কার বৈঠকে চিড়ে ভেজেনি। আবার হুমকি ট্রাম্পের। যদি ইউক্রেন যুদ্ধ না থামায় রাশিয়া, তাহলে তাদের উপরে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জবাবে যদি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “দেখবেন কী হয়।”
বুধবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য আমার কোনও বার্তা নেই। ওঁ জানেন আমার অবস্থান কী। এবং সেই বুঝেই ওঁ কোনও একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। যাই-ই সিদ্ধান্ত হোক না কেন ওঁর, হয় আমরা খুশি হব বা অখুশি হব। আর যদি আমরা অখুশি হই, তাহলে দেখবেন কী হয়।”
কী করবেন, সে বিষয় খোলসা না করলেও, সম্প্রতি ভারতের উপরে বসানো অতিরিক্ত শুল্কের উদাহরণ দিয়েই ট্রাম্প বলেন, “এটা কোনও অ্যাকশন নয় বলছেন? আমি এখনও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে যাইনি। আমি শীঘ্রই জ়েলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব এবং আমরা কী করতে চলেছি, সে বিষয়েও আমি প্রায় নিশ্চিত।”
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ফোনে কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলাস্কায় বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সময় ইতিবাচক বৈঠকের ইঙ্গিত দিলেও, এরপরই চলতি সপ্তাহেই চিনের তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে একজোট হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ত্রি-শক্তিকে দেখেই যত আপত্তি ট্রাম্পের।
চিনে শি জিনপিং ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে মিলিটারি প্যারেডেও সামিল ছিল ভ্লাদিমির পুতিন। সেখান থেকে দাঁড়িয়েই তিনি বলেছেন যে শান্তি চুক্তি না হলে, ইউক্রেনের যুদ্ধ চলবে। পুতিনের এই ঘোষণাতেই ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা আবারও একবার ধাক্কা খেয়েছে।