উহান ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়া সম্ভব, দাবি মার্কিন জাতীয় সংস্থার

২০২০ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন করোনার উৎস খুঁজতে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

উহান ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়া সম্ভব, দাবি মার্কিন জাতীয় সংস্থার
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 8:44 AM

ওয়াশিংটন: উহানের ল্যাব থেকে করোনা (COVID 19) ছড়ানো সম্ভব। তদন্ত শেষে এই সিদ্ধান্তেই এসে পৌঁছেছে মার্কিন জাতীয় ল্যাবরেটরি। তাদের দাবি উহানের ল্যাব থেকে করোনা ছড়ানো সম্ভব। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। মার্কিন জাতীয় ল্যাবেরটরির এই তথ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে।

২০২০ সালের মে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন করোনার উৎস খুঁজতে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও যে ল্যাবেরটরি এই গবেষণা করেছে, সেই লরেন্স লিভারমোর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। গত মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও করোনার উৎস খুঁজে বের করার কথা বলেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা ল্যাবরেটরি থেকেই দুর্ঘটনার মাধ্যমে ছড়িয়েছে করোনা। তবে তারা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন করোনা ছড়ানোর দায় লাগাতায় চিনের ওপর চাপিয়েছেন। সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টেও কাঠগড়ায় উঠেছে চিনই। কেমব্রিজ, হাচিনসন মিলিয়ে ১৮ বিজ্ঞানীর এক প্রতিনিধি দল দাবি করেছে, করোনার উৎস নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড রেলম্যানের দাবি, এখনও করোনার ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যেই জার্নাল সায়েন্সে এই তত্ত্বের কথা প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সঠিক বিবেচনা করেনি।

ব্রিটিশ অধ্যাপক আঙ্গাস ডালগ্লেইস ও বিজ্ঞানী বিরজার সরেনসনের গবেষণার কথা উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল আগেই জানিয়েছে, উহান ল্যাবে ‘গেইন অব ফাঙ্কশান’ দিয়ে কাজ করেছিলেন চিনা বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই স্পষ্ট যে করোনাভাইরাসের কোনও প্রাকৃতিক উৎস নেই। গবেষকরা দাবি করেছেন, ভাইরাসে এমন কিছু চারিত্রিক দিক দেখা গিয়েছে, যা স্রেফ ল্যাবেরটরিতেই তৈরি করা সম্ভব।

ব্রিটেনের ‘দ্য সান’ ও অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ সংবাদ মাধ্যমের দাবি, করোনাভাইরাসকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিকল্পনা করছিল চিন। চিনের লাল ফৌজ ২০১৫ সাল থেকেই তাই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। চিনা বিজ্ঞানীরা সার্স করোনাভাইরাসকে ‘নতুন যুগের জেনেটিক অস্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বলেও দাবি নথির ভিত্তিতে।

নথির কথা উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, চিনের উদ্দেশ্য ছিল শত্রু দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে একেবারে ভেঙে দেওয়া। তার জন্যই জৈব অস্ত্র হিসেবে করোনাকে ব্যবহার করতে চাইছিল বেজিং। সেই নথিতে এ-ও উল্লেখ রয়েছে কীভাবে উহানে করোনা ছড়াল সেই সংক্রান্ত একটি বই ‘হোয়াট রিয়্যালি হেপেনড ইন উহান’ তা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসবে।

আরও পড়ুন: এ বার কুকুর-বিড়ালের জন্যও করোনা প্রতিষেধক, নেপথ্যে রাশিয়া