নিউ ইয়র্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) পেল বাংলাদেশ-বংশোদ্ভূত প্রথম মহিলা মুসলিম বিচারক। মার্কিন সেনেট বৃহস্পতিবার ফেডারেল বিচারক হিসাবে বাংলাদেশ-আমেরিকা বংশোদ্ভূত নুসরত চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে। তিনিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মহিলা মুসলিম ফেডারেল বিচারক (first Muslim female federal judge) হলেন। ৫০-৪৯ ভোটে জিতে নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৬ বছর বয়সি নুসরত। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (ACLU) আইনি অধিকর্তা হিসাবে কাজ করছেন।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইয়েল ল স্কুল থেকে আইনে ডিগ্রি করেন নুসরত চৌধুরী। তারপর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে চলা আইনজীবীদের সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ)-এর সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি এই সংগঠনের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন এবং দেশের জাতিগত বৈষম্য ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতেও সোচ্চার হয়েছিলেন। এরপর তিনি এই সংস্থার অধিকর্তা হন। তারপর গত বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নুসরত চৌধুরীকে ফেডারেল বেঞ্চের বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
মার্কিন সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, “নুসরত চৌধুরী নাগরিক অধিকার রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ এবং প্রতিভাবান আইনজীবী। এটাই তাঁকে সততা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে ফেডারেল বেঞ্চের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করেছে। আশা করছি, তিনি আইনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল থাকবেন এবং তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ন্যায় বিচার করবেন।”
কয়েক বছর আগে বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন নুসরত চৌধুরী। ২০১৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গদের পুলিশ প্রতিদিন হত্যা করছে।” তাঁর এই বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেনেটের কয়েকজন সদস্যও তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেন। তারপর অবশ্য নুসরত আইনের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে বলে সেনেট বিচারবিভাগীয় কমিটিকে চিঠি দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফেডারেল বিচারক হিসেবে জাহিদ কুরাইশিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তাঁকে নিউ জার্সির ফেডারেল ট্রায়াল কোর্টে নিয়োগ করা হয়েছিল।