US Supreme Court: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে না শিক্ষার্থীর জাত-বর্ণ, রায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 30, 2023 | 7:04 AM

US Supreme Court: হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের রায়ের সঙ্গে একেবারেই একমত নন। অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, "এটা আমেরিকার জন্য দারুণ একটা দিন।"

US Supreme Court: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে না শিক্ষার্থীর জাত-বর্ণ, রায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের
মার্কিন সুপ্রিম কোর্চের বাইরে, ভর্তির ক্ষেত্রে জাত-বর্ণ না দেখার দাবিতে আন্দোলনকারীরা
Image Credit source: AFP

Follow Us

ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্টের পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প না থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও ট্রাম্পপন্থীদেরই জয়জয়কার। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) আরও একবার তা প্রমাণিত হয়ে গেল। এদিন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জাতি এবং বর্ণের যাচাই নিষিদ্ধ করল। সেই গত শতাব্দীর ছয়ের দশক থেকে এতদিন পর্যন্ত, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ছাত্রাছাত্রীরা সরক্ষণের সুযোগ পেতেন। সংখ্যালঘু ছাত্রদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতেই এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটা আর চলবে না। মেধার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে হবে। আসলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকলেও, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে রক্ষণশীলরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গত বছর
এই একই আদালত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার নিষিদ্ধ করেছিল। এক বছর পর, গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে প্রতিষ্ঠিত আরও এক উদার নীতি বাতিল করল মার্কিন শীর্ষ আদালত।

বৃহস্পতিবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস রায় দেন, ‘সৎ উদ্দেশ্য এবং সরল বিশ্বাস’ থেকেই ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ আনা হয়েছিল। তবে, চিরকাল এই ব্যবস্থা চলতে পারে না। এতে অন্যান্য জাতি-বর্ণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। রবার্টস লিখেছেন, “কোনও শিক্ষার্থীকে ব্যক্তি হিসেবে তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যাচাই করা উটিত, জাতিগত ভিত্তিতে নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘকাল ধরে এর বিপরীত কাজ করে চলেছে।” ‘স্টুডেন্টস ফর ফেয়ার অ্যাডমিশন’ নামে শিক্ষার্থীদের এক গোষ্ঠী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতি-বর্ণকে যাচাই করার নীতিকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, মার্কিন শীর্ষ আদালতের বিচারকদের ছয় জন বিচারপতি তাদের পক্ষে এবং তিনজন তাদের বিপক্ষে মত দেন।

হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের রায়ের সঙ্গে একেবারেই একমত নন। তিনি চান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্য বজায় থাকুক। বাইডেন বলেছেন, “আমেরিকাতে এখনও বৈষম্য আছে। আজকের সিদ্ধান্তে তা পাল্টে যাবে না। যদি কোনও শিক্ষার্থীকে শিক্ষালাভের পথে জাতিগত প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে হয়, তবে কলেজগুলির সেই সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। এটা সত্য অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতিগত বৈচিত্র্য থাকলে, কলেজগুলি আরও শক্তিশালী হয়।” প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, ছয়ের দশকের এই ইতিবাচক নীতিগুলিই তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী মিশেল-সহ একটা গোটা প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছে। বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে, এই নীতিগুলি অপরিহার্য।

অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “এটা আমেরিকার জন্য দারুণ একটা দিন।” রিপাবলিকান পার্টির আরেক নেতা তথা মার্কিন হাউস অব রিপ্রেডেন্টেটিভস-এর স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, “এই রায় কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়াকে ন্যায়সঙ্গত করে তুলবে এবং সমতা বজায় থাকবে।” বস্তুত, ২০১৬ সাল থেকেই ক্রমে রক্ষণশীলদের দিকে ঝুঁকেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। আগেই তিন রক্ষণশীল বিচারপতি ছিলেন, পরে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও তিনজনকে নিয়োগ করেছিলেন। এই ছয়জন রক্ষণশীল বিচারপতিই এই রায়ের পক্ষে ছিলেন।

Next Article