Russia-Ukraine War: পুতিনকে ফোন নমোর, আর সুর নরম করল আমেরিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 17, 2022 | 2:43 PM

Narendra Modi-Vladimir Putin: আলোচনা ও কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই যে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব, সেই বার্তা পুতিনকে দিয়েছেন মোদী। ভারতের এই কূটনৈতিক অবস্থানকে এবার স্বাগত জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

Russia-Ukraine War: পুতিনকে ফোন নমোর, আর সুর নরম করল আমেরিকা
পুতিনকে ফোন নমোর

Follow Us

ওয়াশিংটন: ইউক্রেনের উপর নতুন করে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহর রাশিয়ার নিশানায়। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের পরিস্থিতির মধ্যেই ফের একবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আলোচনা ও কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই যে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব, সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি পুতিনকে। ভারতের এই কূটনৈতিক অবস্থানকে এবার স্বাগত জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন বেদান্ত প্যাটেল এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্যান্য দেশগুলিও রাশিয়ার সঙ্গে তাঁদের অবস্থান নিয়ে নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যুদ্ধের প্রভাব যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার জন্য আমরা বন্ধু-রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।” প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার রাশিয়াকে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছে ভারত।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সমরখন্দে এসসিও সম্মেলন চলাকালীন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুঝিয়েছিলেন, “আজকের যুগ, যুদ্ধের যুগ নয়।” খাদ্য, জ্বালানি ও সার সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য একটি পথ বের করার দিকেও জোর দিয়েছিলেন মোদী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহ নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন বলেন, “এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যদি কোনও দেশ আগ্রহী হয়, তাহলে অবশ্যই তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের বন্ধু-রাষ্ট্রগুলির সঙ্গেও একসঙ্গে কাজ করা যেতে পারে।”

এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরোধিতা করে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব এনেছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই সময়ে প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছিল ভারত। অর্থাৎ পক্ষে বা বিপক্ষে, কোনও মতই জানায়নি ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের একটি দীর্ঘ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। একদিকে যেমন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরতে দেওয়া হয়নি, তেমনই রাশিয়া যে পথে এগোচ্ছে, সেটিও যে ঠিক নয়, তাও বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ, মোটের উপর কূটনৈতিক স্তরে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা দেখা গিয়েছে। তার জন্য, নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার আনা প্রস্তাবেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। এখনও নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় ভারত। এমন অবস্থায় পুতিনকে মোদীর ফোন করাকে আমেরিকার স্বাগত জানানো স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, সমরখন্দে ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ওই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর সম্প্রতি পুতিনকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্বাগত জানানোয় তা নিয়ে চর্চা আরও বাড়ল।