
ওয়াশিংটন: কথায় বলে, মানুষ প্রেমে অন্ধ হয়ে যায়। এবার, অন্য মহিলার দিকে তাকানোর জন্য প্রেমিকার হাতে আক্ষরিক অর্থেই অন্ধ হওয়ার দশা হল এক মার্কিন নাগরিকের। অন্য মহিলাদের দিকে তাকানো নিয়ে তর্কাতর্কির মধ্যে, তাঁর প্রেমিকা ওই ব্যক্তির চোখে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে, আমেরিকার মায়ামি প্রদেশে। আহত ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে মায়ামি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে। আহত ব্যক্তির সঙ্গে গত আট বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ৪৪ বছরের স্যান্ড্রা জিমেনেজ। মায়ামির নর্থ-ইস্ট স্ট্রিটের এক বাড়িতে থাকেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে, এই যুগল বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। স্যান্ড্রা জিমেনেজের দাবি, সেই সময় অপর মহিলাদের দিকে কামনার্ত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন তাঁর প্রেমিক। এই নিয়ে রাস্তাতেই এক প্রস্থ ঝগড়া হয়েছিল তাঁদের।
স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁরা। পুলিশকে আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে তিনি ক্লান্ত শরীরে সোফায় শুয়ে পড়েছিলেন। বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর, সেই সময়ই অন্য মহিলাদের দিকে তাকানোর জন্য প্রেমিককে সবক শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্যান্ড্রা জিমেনেজ। পোষা কুকুরের জন্য, তাঁদের বাড়িতে দুটি জলাতঙ্কের টিকা ছিল। সেই সঙ্গে ছিল দুটি ইনজেকশনও। আচমকা সেই ইনজেকশন দুটি নিয়ে প্রেমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্যান্ড্রা। তারপর, তাঁর ডান চোখে সেই ইনজেকশনদুটির সূঁচ ঢুকিয়ে দেন তিনি।
স্যান্ড্রা ও তাঁর হতভাগ্য প্রেমিক (ফাইল ছবি, সংগৃহীত)
এই হামলার পর, প্রেমিককে ওই অবস্থায় ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন স্যান্ড্রা। জরুরী নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন আহত ব্যক্তি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে জ্যাকসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরই নির্যাতিত ব্যক্তি পুলিশে ফোন করেন এবং হাসপাতালেই পুলিশ কর্তাদের সামনে নিজের বয়ান নথিবদ্ধ করেন।
এরপর, পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু, সেখানে স্যান্ড্রা জিমেনেজ ছিলেন না। পরে মঙ্গলবার রাতে, পুলিশ অফিসাররা তাদের বাড়ির বাইরেই পার্ক করা গাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় খুঁজে পান স্যান্ড্রাকে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। অন্য মহিলার দিকে তাকানোর জন্য প্রেমিককে আঘাত করার কথা স্বীকার করলেও, প্রেমিকের চোখের আঘাত তাঁর করা নয় বলে দাবি করেছেন স্যান্ড্রা। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর প্রেমিক নিজেই নিজের চোখে ওই আঘাত করেছেন। পুলিশ আপতত তাঁকে গিলফোর্ড সংশোধন কেন্দ্রে গৃহবন্দী করে রেখেছে।