USA : প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর ভারতের নির্ভরশীলতা চাইছে না আমেরিকা, যুদ্ধ আবহে সাফ বার্তা পেন্টাগনের
২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করে ভারত। সেই সময়েও দিল্লিকে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনকে।
ওয়াশিংটন : ‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভর করার কোনও প্রয়োজন নেই’। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (, Russia-Ukraine War) আবহে ফের ভারতকে এই ভাষাতেই নতুন বার্তা দিতে দেখা গেল আমেরিকাকে (America)। প্রসঙ্গত, ডোকালাম থেকে শুরু করে পূর্ব লাদাখে গত কয়েক বছরে চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতের আবহে বারেবারেই সাউথ ব্লকের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে পেন্টাগনকে। জো বাইডেনের শাসনামলের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকে প্রতিরক্ষা (Defense) ক্ষেত্রে অনেকটাই মজবুত হয়েছে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক(Delhi-Washington relations। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে পেন্টাগনের এই বার্তা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যেখানে চরম অস্থিরতা বাতাবরণ রয়েছে গোটা বিশ্বে সেখানে ভারতের অবস্থান নিয়ে বরাবরই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলির একটা বড় অংশ। কিন্তু মার্কিনি চাপ উপেক্ষা করেও রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়া বিরোধী নিন্দা প্রস্তাবে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিয়েছে নয়া দিল্লি। যার জেরে বিশ্বের একাধিক ‘বন্ধু’ দেশের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। যদিও ভারত যে এত সহজ অবস্থান বদল করবে না তা বেশ বুঝতে পেরেছে ওয়াশিংটন। আর সেই কারণেই এবার সরাসরি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা কমাতে ভারতে প্রকাশ্যেই ‘অনুরোধ’ করলেন পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি।
এই প্রসঙ্গে জন কিরবি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো ভারতের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমরা চাইনা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার উপর নির্ভর করুক। একইসঙ্গে আমাদের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে সুসস্পর্ক রয়েছে তা আমরা ধরে রাখতে চাই। আমরা চাই আমাগীতে তা আরও মজবুত হোক’। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করে ভারত। এই বিশালাকার চুক্তির হাত ধরে ৫ ইউনিট ‘এস-৪০০ ট্রাইম্প এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম’ নিজ দেশে আনতে চায় ভারত। যদিও সেই সময়ে ট্রাম্প সরকারের তরফে এর কড়া নিন্দা করা হয়েছিল। এমনকী এও জানানো হয়েছিল যদি ভারত তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দিল্লিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন- ক্রমশই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে আমেরিকা? হঠাতই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য