তেহরান: সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ভয়ঙ্কর দিকে এগোচ্ছে যুদ্ধ। ইজরায়েলের উপরে বদলা নিতে প্রস্তুত ইরান। আবার ইরানকেও ছেড়ে কথা বলছে না নেতানিয়াহুর সেনা। এই যুদ্ধ কত দূর গড়াবে, পরমাণু যুদ্ধের আকার নেবে কি না, তা নিয়ে হাজারো জল্পনার মাঝেই এবার আমেরিকার হাতে এল বড় তথ্য। আমেরিকার দাবি, ৪ হাজার মিসাইল দিয়ে ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাতে পারে ইরান। আজই এই হামলা হতে পারে। এদিকে, হাত গুটিয়ে নেই ইজরায়েলও। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের সমস্ত পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
একদিকে যেখানে ইরান ও ইজরায়েল একে অপরের উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে, সেখানেই ইজরায়েলকে বড় সাহায্য করতে চলেছে আমেরিকা। ইজরায়েলকে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী বোমা দিতে চলেছে আমেরিকা। এই বোমার নাম জিবিইউ-৪৩/বি (GBU-43/B)। একে আমেরিকার ‘মাদার অফ অল বম্ব’ও বলা হয়।
এই বোমায় ১১ টন টিএনটি বিস্ফোরক থাকে। বোমার ওজন ৯৮০০ কেজি। জানা গিয়েছে, এই বোমা জিপিএস দিয়ে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে। আমেরিকার এই বোমা খুব ভারী হওয়ায় বহন করা কঠিন। তবে ইজরায়েলের কাছে সি-১৩০ হারকিউলিস কার্গো বিমান রয়েছে, যা দিয়ে এই বোমাটি ফেলা যাবে।
এত ভারী, বিস্ফোরক ভরা বোমার অভিঘাত যে ভয়ঙ্কর হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জিপিএসের সাহায্যে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি ধ্বংস করে দিতে পারে এই বোমা। তবে এর জন্য ইজরায়েলের বিমানকে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে হবে। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি মাটির নিচে। এই বোমা ইজরায়েল হাতে পেলে, মাটির২০০ ফুট নিচে গিয়েও বিস্ফোরণ ঘটাযতে পারবে।
এছাড়াও আমেরিকা ইজরায়েলকে জিবিইউ-৫৭ বোমা দিচ্ছে। এটিও একটি বাঙ্কার বাস্টার বোমা। বোমাটি ২৪০০ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে এবং এর ওজন ১৩,৬০০ কেজি। এফ-১৫ থান্ডার যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে এই বোমা ফেলা হতে পারে। এর আগে ইয়েমেনের ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করতে আমেরিকা বি-২ বোমারু বিমান থেকে এই বোমা ফেলেছিল।