Apple Watch: জীবন্ত কবর দিয়েছিল স্বামী, কিন্তু রাখে ‘অ্যাপল ঘড়ি’ তো মারে কে?

Apple Watch saves woman: ছুরিকাঘাত করে, হাত-পা ডাক্ট টেপ দিয়ে বেঁধে জ্যান্ত কবর দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু রাখে 'অ্যাপল ঘড়ি' তো মারে কে?

Apple Watch: জীবন্ত কবর দিয়েছিল স্বামী, কিন্তু রাখে 'অ্যাপল ঘড়ি' তো মারে কে?
কবর থেকে মহিলাকে রক্ষা করতে সাহায্য করল তাঁর অ্যাল স্মার্ট ওয়াচ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 9:11 AM

ওয়াশিংটন: ছুরিকাঘাত করে, হাত-পা ডাক্ট টেপ দিয়ে বেঁধে জ্যান্ত কবর দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু রাখে ‘অ্যাপল ঘড়ি’ তো মারে কে? ওই মহিলা সেই অগভীর কবর খুঁড়ে বের হয়ে, অ্যাপল ঘড়ি থেকে সাহায্যের জন্য ডেক পাঠিয়েছিলেন পুলিশকে। আর এভাবেই সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আর ধরা পড়ে গিয়েছে তাঁর অপরাধী স্বামী। সম্প্রতি এই বিস্ময়কর অপরাধের ঘটনাটি ঘটেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরে।

আক্রান্ত মহিলার নাম ইয়াং সুক আন। ৪২ বছর বয়সী আন-এর বিয়ে হয়েছিল ৫৩ বছর বয়সী চে কিয়ং আনের সঙ্গে। কিন্তু, প্রথম তাঁদের দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। ওই দম্পতির মেয়ে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। কিন্তু, তাঁর বাবা প্রায়শই জামা-কাপড় ধোয়ার মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম করিয়ে নেন তাঁর মাকে দিয়ে। গত রবিবার (১৬ অক্টোবর) সেরকমই কোনও কাজে দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ি এসেছিলেন চে কিয়ং।

আক্রান্ত ইয়াং সুক আন এবং তাঁর স্বামী অভিযুক্ত চে কিয়ং আন

ওই দিন দুজনের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, চে কিয়ং জানিয়েছিল, তাঁর অবসরকালীন ভাতা থেকে এক পয়সাও তিনি ইয়াং সুক আনকে দেবে না। ওই অর্থ দেওয়ার বদলে তাঁকে হত্যা করতেও পিছপা হবেন না। এই নিয়ে তর্কাতর্কির মধ্যেই ইয়াং সুক আনকে বারবার করে ছুরিকাঘাত করেছিল চে কিয়ং। তারপর, তাঁর হাত-পা ডাক্ট টেপ দিয়ে বেঁধে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল। জঙ্গলের মধ্যে এক জায়গায় একটি অগভীর কবর খুঁড়ে ইয়াং সুক-কে জীবন্ত কবর দিয়েছিল।

কিন্তু, এত কিছু করেও নিজের অপরাধ গোপন রাখতে পারেনি চে কিয়ং। ইয়াং সুক সেই অগভীর কবর খুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর তাঁর হাতে থাকা অ্যাপল সংস্থার স্মার্টওয়াট থেকে তিনি পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ং সুককে যখন তারা উদ্ধার করেছিল, সেই সময় তাঁর গলায়, মুখের নিচের দিকে এবং গোড়ালির চারপাশে ডাক্ট টেপ বাঁধা ছিল। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, চে কিয়ং-এর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যার চেষ্টা, অপহরণ এবং হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারিভাবে এখনও সে দোষী সাব্যস্ত না হলেও, তাঁকে আপাতত কাউন্টি জেলে পাঠানো হয়েছে। তার বিচার চলছে।