AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World’s Most Powerful Countries: বিশ্বগুরু হতে ভারতকে টপকাতে হবে ১১টি দেশ, কারা আছে শক্তিশালীর তালিকায়?

World's Most Powerful Countries: প্রযুক্তি, অর্থ এবং বিনোদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং ৫জি নেটওয়ার্কের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে চিন। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক থেকেও ক্রমে তারা শীর্ষস্থানে উঠে আসছে। অন্যদিকে, সবুজ শক্তি এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জোরে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জার্মানি।

World's Most Powerful Countries: বিশ্বগুরু হতে ভারতকে টপকাতে হবে ১১টি দেশ, কারা আছে শক্তিশালীর তালিকায়?
প্রতীকী ছবি Image Credit: Pixabay
| Updated on: Feb 02, 2024 | 1:42 PM
Share

নিউ ইয়র্ক: বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশের তকমা ধরে রাখল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস নিউজ পাওয়ার র‍্যাঙ্কিং অনুসারে, জো বাইডেনের দেশই ২০২৪ সালে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ। তবে, আমেরিকাকে জোর তাড়া করেছে চিন। প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জোরে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বেজিং। আর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব এবং সামরিক শক্তির জোরে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে রাশিয়া। জিডিপির নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বে ভারতের স্থান পঞ্চম হলেও, শক্তিশালী দেশগুলির তালিকায় এখনও প্রথম ১০-এ জায়গা করে নিয়ে পারেনি। এই বছর এই তালিকায় ভারত আছে দ্বাদশ স্থানে।

কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে? ইউএস নিউজ পাওয়ার র‍্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক জোট এবং সামরিক শক্তির উপর ভিত্তি করে এই র‌্যাঙ্কিং দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি, অর্থ এবং বিনোদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং ৫জি নেটওয়ার্কের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে চিন। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক থেকেও ক্রমে তারা শীর্ষস্থানে উঠে আসছে। অন্যদিকে, সবুজ শক্তি এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জোরে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জার্মানি।

পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রিটেন এবং দক্ষিণ কোরিয়া। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগ আর দক্ষিণ কোরিয়া এই স্থান পেয়েছে তাদের প্রযুক্তি এবং সবুজ শক্তি উদ্যোগের জোরে। ডিজিটালাইজেশন ও সবুজ শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখার দৌলতে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে ফ্রান্স। উন্নত মানের ইলেকট্রনিক চিপ তৈরি, এআই এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে জাপান। বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব রয়েছে নবম স্থানে। প্রথম দশে আর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

ভারত দ্বাদশ স্থানে থাকলেও, এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে আমাদের দেশের। শক্তিশালী অর্থনীতি, শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্দান্ত সামরিক শক্তি এর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মর্যাদার কারণে দ্রুত এই স্থানে উঠে এসেছে ভারত। দ্রুত প্রথম দশেও উঠে আসবে ভারত, এমনই মনে করছে ইউএস নিউজ পাওয়ার র‍্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, এই র‌্যাঙ্কিং বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার মানচিত্র কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তার ছবি তুলে ধরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেমন এখনও এই তালিকার এক নম্বরে রয়েছে, তেমনই দ্রুত তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে উঠে আসছে চিন। তার থেকেও দ্রুত গতিতে উইন্নতি হচ্ছে ভারতের। এটা বহুমুখী বৈশ্বিক ব্যবস্থার ইঙ্গিতবাহী বলে জানিয়েছে ইউএস নিউজ পাওয়ার র‍্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, এই ব়্যাঙ্কিং থেকে বোঝা যাচ্ছে, সবুজ শক্তি, প্রযুক্তি এবং মহাকাশ অনুসন্ধানকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি।