Sheikh Hasina: দিনক্ষণ চূড়ান্ত, হাসিনার মামলা নিয়ে বড় ঘোষণা করল বাংলাদেশের আদালত

Sheikh Hasina Bangladesh: সেই তারিখ বাছাইয়ের কাজ শেষ হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অপরাধ ট্রাইব্য়ুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এদিন তিনি বলেন, 'কেউ এই দেশে যতই শক্তিশালী হন না কেন, অপরাধ, বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে রেহাই পাবেন না। বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন তাঁকে হতেই হবে।'

Sheikh Hasina: দিনক্ষণ চূড়ান্ত, হাসিনার মামলা নিয়ে বড় ঘোষণা করল বাংলাদেশের আদালত
বাংলাদেশে বাড়ছে চিন্তাImage Credit source: PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 13, 2025 | 6:00 PM

ঢাকা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোটা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আদালতের দিকে। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘রাজনীতি যাই হোক না কেন, আগামী ১৩ই নভেম্বর শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হবে, তাতে কোনও সংশয়ই নেই।’ আর এদিন সেটাই হল। হাসিনার ভাগ্যের ক্ষণ জানাল বাংলাদেশের আদালত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়কালে চলা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়দানের তারিখ ঘোষণা করল ট্রাইব্যুনাল। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৭ই নভেম্বর নেওয়া হবে এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই মামলার রায়দানের তারিখ নির্ধারণ করে। সেই তারিখ বাছাইয়ের কাজ শেষ হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অপরাধ ট্রাইব্য়ুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এদিন তিনি বলেন, ‘কেউ এই দেশে যতই শক্তিশালী হন না কেন, অপরাধ, বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে রেহাই পাবেন না। বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন তাঁকে হতেই হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘১৭ নভেম্বর আদালত বিবেচনা করবে। আমরা আশাবাদী তাঁরা মানুষকে সুবিচার দেবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এই রায়টি দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলেই আমার প্রত্যাশা।’

হাসিনার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

২০২৪ সালের ৫ অগস্ট। বাংলাদেশে শেষ হয় হাসিনার-শাসন। ছাত্র আন্দোলনের রোষে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৈরি হয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ১২ই অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে শুরু হয় মানবতাবিরোধী মামলা। যা শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। এবার ১৭ নভেম্বর হবে রায়দান। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৪০০ জনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল তাঁরা। যার রায়দান ১৭ তারিখ।