ওয়াশিংটন: হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিচার চলছে আদালতে। এই অবস্থায় পুলিশকর্মীদের ধোকা দিয়ে আদালতের কক্ষ থেকে চম্পট দিল সন্দেহভাজন! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য হোক, এমনটাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন প্রদেশে। তবে, পালিয়ে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেনি সে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই স্থানীয় এক অ্যাপার্টমেন্টে কম্বলের নীচ থেকে তাকে ফের পাকড়াও করে পুলিশ। তবে এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এই ঘটনা ঘটেছে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। ওয়াশিংটন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে চলতি সপ্তাহেই ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আসলে, ওরেগন রাজ্যের আইন অনুসারে, বিচার চলাকালীন সন্দেহভাজন ব্যক্তির হাত-পায়ের সমস্ত বাধন খুলে দিতে হয়। এডি ভিলালোবোস জুনিয়র নামে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ২৮ বছর বয়সী ব্যক্তিকে আদালত কক্ষে হাজির করার পর, সেই আইন মেনেই এক পুলিশ তার হাতকড়া এবং পায়ের শিকল খুলে দেন। এরপরই পালানোর সুযোগ আছে বুঝে ওই ব্যক্তি দৌড় লাগায়। আদালত কক্ষের হলওয়ে দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে সে আদালত চত্ত্বরের বাইরে চলে যায়।
ওয়াশিংটন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “স্থানীয় সময় ১১টা নাগাদ আদালত বিরতি নিয়েছিল। ভিলালোবোসের হাত-পায়ের বাঁধন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিরতি শেষ হলে, ডেপুটিরা ওরেগনের আইন মেনে ফের ভিলালোবোস হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। একবার হাতকড়া এবং শিকল খুল দিতেই সে আদালত কক্ষ থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায়।” স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরপর দুই ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির করে ফের পলাতক ভিলালোবোসের সন্ধান পায় পুলিশ। এক অপরিচিত ব্যক্তির অ্যাপার্টমেন্টে একটি কম্বলের নীচে লুকিয়েছিল সে। ওই ব্যক্তি পুলিশে ফোন করে জানান, একজন দোর করে তার বাড়িতে প্রবেশ করেছে। এরপরই পুলিশ এসে ফের তাকে গ্রেফতার করে। তাকে ফের ওয়াশিংটন কাউন্টি জেলে ফেরত পাঠানো হয়।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল দুই ব্যক্তিকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে ভিলালোবোসের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুটি চুরির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডের পর, তাঁর বিরুদ্ধে হেফাজত থেকে পালানোর আরও একটি নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে।