Yevgeny Prigozhin: সত্যিই কি মৃত্যু হয়েছে প্রিগোজিনের? প্রশ্ন তুলে দিল নয়া ভিডিয়ো

Yevgeny Prigozhin: সত্যিই কি মৃত্যু হয়েছে 'ওয়াগনার' যোদ্ধা বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের? অন্ত্যেষ্টীক্রিয়া হওয়ার পরও প্রশ্ন তুলে দিল একটি ভিডিয়ো।

Yevgeny Prigozhin: সত্যিই কি মৃত্যু হয়েছে প্রিগোজিনের? প্রশ্ন তুলে দিল নয়া ভিডিয়ো
রাশিয়ার 'ওয়াগনার' যোদ্ধা বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন (ফাইল ছবি)Image Credit source: AFP

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Sep 01, 2023 | 12:00 PM

মস্কো: ২৩ অগস্ট, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার ‘ওয়াগনার’ যোদ্ধা বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের। এমনকি, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সত্যিই কি মৃত্যু হয়েছে তাঁর? প্রশ্ন তুলে দিল একটি ভিডিয়ো। যেখানে তাঁকে একটি গাড়িতে চড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে নিজের মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়েই তিনি কথা বলেছেন। জানাচ্ছেন, তিনি সুস্থ আছেন। প্রিগোজিনের এই ভিডিয়োটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি, বা কোথাও প্রকাশিতও হয়নি। সম্প্রতি এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো। রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি আগে রেকর্ড করা। তবে, এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করেই প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।

ভিডিয়োটিতে প্রিগোজিনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “যারা আমার লিকুইডেশন, ব্যক্তিগত জীবন, এবং উপার্জন বা অন্য বিষয় নিয়ে ভাবিত, তাদের বলি, সবকিছু ঠিক আছে। আমি বেঁচে আছি কি না, আমি কেমন আছি, এই সব বিষয়ে অনেকে আলোচনা করছেন। আমি একেবারে ঠিক আছি। এখন, ২০২৩-এর অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহান্ত। আমি আফ্রিকায় আছি। ” এই ভিডিয়ো সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, রুশ সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করেছে, ভিডিয়োটিতে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করেছিলেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তারা জানিয়েছে, প্রিগোজিনের গায়ে যে সামরিক উর্দি রয়েছে, সেটি তাকে আফ্রিকায় ওয়াগনার গ্রুপের প্রচারের সময় পরতে দেখা গিয়েছিল। ২১ অগস্ট তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন, সেই ভিডিয়োতেও তিনি একই পোশাকে ছিলেন।


ওই ভিডিয়ো প্রকাশের দুদিন বাদেই মস্কোর উত্তর দিকে এক স্থানে, প্রিগোজিন এবং ওয়াগনার গ্রুপের আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্যকে নিয়ে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। যাত্রীদের কেউই রক্ষা পাননি। তবে, এটি দুর্ঘটনা নয়, বরং রাশিয়ার পক্ষ থেকেই ঘটনা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। বস্তুত, মাত্র দুই মাস আগেই ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ওয়াগনার গোষ্ঠী। তাঁর বাহিনীর অপব্যবহার করা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে অনুপযুক্ত আচরণ করা হয়েছে অভিযোগ করে, সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে তিনি মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে সেই সংঘাতের সম্ভাবনা দূর হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যেই প্রিগোজিনের মৃত্যু হওয়ায়, এর পিছনে রুশ সরকারের হাত রয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।


রুশ প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে তারা ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা করে প্রিগোজিনের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। এর থেকেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে ওই বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে ওয়াগনার প্রধানের। তবে একইসঙ্গে, পুতিন প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনও প্রমাণ পরীক্ষা করতে পারবে না আন্তর্জাতিক মহল। প্রিগোজিনের মৃত্যুর পিছনে রাশিয়ার কোনও হাত থাকার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। প্রিগোজিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্টও। পুতিন জানিয়েছেন, ওয়াগনার প্রধান ‘একজন প্রতিভাবান ব্যবসায়ী’ ছিলেন। কিন্তু তিনি কিছু ‘গুরুতর ভুল’ করেছিলেন। বুধবারই তাঁর নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের পোরোখভস্কয় গোরস্থানে সমাধিস্ত করা হয়েছে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে।