Russia-Ukraine Conflict: পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে কি ‘আরও বড় যুদ্ধ’ শুরুর ইঙ্গিত দিলেন পুতিন?

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেন ও পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের যাবতীয় দাবি খারিজ করেছে। ২৪ তারিখ ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবতীয় নিরাপত্তা আরোপ করেছে পশ্চিমী দেশগুলি।

Russia-Ukraine Conflict: পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে কি 'আরও বড় যুদ্ধ' শুরুর ইঙ্গিত দিলেন পুতিন?
ইউক্রেন নিয়ে কী বার্তা দিলেন পুতিন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2022 | 9:23 PM

লন্ডন: ইউক্রেনে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ঘোষণার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমী দেশগুলি। রাশিয়ান ভদকা নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে বিদেশে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফ্ট বাতিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিপুল খরচ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ অর্থনীতি ব্যাপক চাপের মুখে। রাশিয়া যে এই অর্থনৈতিক চাপে ভাল নেই শনিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ছাড়া আর কিছুই নয়। রীতিমতো হুঁশিয়ারির ঢঙে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ‘নো-ফ্লাই জ়োন’ ঘোষণা করলে ফল মারাত্মক হতে পারে। পুতিনে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষী মানুষদের রক্ষা করাই তার প্রধান কাজ।

ইউক্রেন ও পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের যাবতীয় দাবি খারিজ করেছে। ২৪ তারিখ ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবতীয় নিরাপত্তা আরোপ করেছে পশ্চিমী দেশগুলি। পুতিন বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া আর কিছুই নয়, তবে ভগবানকে ধন্যবাদ যে পরিণতি সেই দিকে যায়নি।” মস্কোর কাছে অ্যারোফ্লট ট্রেনিং সেন্টারে বিমানের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, অন্য কোনও শক্তি যদি ইউক্রেনে ‘নো-ফ্লাই জ়োন’ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে রাশিয়া সামরিক অভিযানে বাধ্য হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ন্যাটোর কাছে ‘নো-ফ্লাই জ়োন’ ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন, তবে ন্যাটো সেই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।

পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান অভিযানের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল না। শুধুমাত্র পেশাদার সেনারাই এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিল। “আমাদের সেখানে থাকার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের সেনাবাহিনী সব কাজই সম্পূর্ণ করবে। এই নিয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই।” রাশিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও এদিন খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থার মত পরিস্থিতি তখনই জারি হয় যখন দেশের ভিতরে বা বাইরে শত্রুদের তরফে কোনও ঝুঁকি থাকে। “রুশ ভূখণ্ডে কোনও ধরনের বিশেষ শাসন জারি করার কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই”, বলেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়াতে যে বিক্ষোভ চলছিল তার ওপর ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: কিয়েভের কাছে উড়ছিল রুশ হেলিকপ্টার, পাল্টা আক্রমণ ইউক্রেনের, দেখুন রোমহর্ষক ভিডিয়ো