বাংলাদেশ: গত কয়েকদিন ধরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ থেকে সোজা উড়ে আসেন ভারতে। প্রথমে হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর হাসিনার বিমান অবতরণ করে দিল্লির কাছে বায়ুসেনার হিন্দন এয়ারবেসে। সোমবার হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সবার নজর ছিল এই বিমানের গতিপথে।
বিমানের কল সাইন ছিল AJAX1431। Flightradar24.com-এ সেই বিমানের গতিপথ দেখা যাচ্ছিল সোমবার। সেখানে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান সহ একাধিক জায়গার ওপর দিয়ে উড়ে যায় বিমানটি। তারপর ধানবাদ পেরিয়ে উত্তর প্রদেশ। বিমানে ছিলেন হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা। বাংলাদেশের এয়ারফোর্সের ওই বিমানটি হল C-130J এয়ারক্রাফট।
কী আছে এই C-130J বিমানে?
ইঞ্জিনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এই বিমান। এটি মূলত মিলিটারি ট্রান্সপোর্টের জন্য ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ কোথাও এয়ারলিফট করে মানুষজনকে সরানোর দরকার পড়লে, সেনাবাহিনীকে কোনও পণ্য বহন করতে হলে, উদ্ধারকাজে এই বিমান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে চারটি ইঞ্জিন। আর এই বিমানের নতুন ভার্সানে রয়েছে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের এয়ারফোর্স তাদের ফ্লিটে যোগ করে এই C-130J সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফট। ইউকে-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনে এই বিমান দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
এটি লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি একটি বিমান। এটি ৪১ ফুট দীর্ঘ, উচ্চতায় ৯ ফুট ও প্রস্থে ১০ ফুট। যে কোনও আবহাওয়া উড়তে সক্ষম এটি। এমন ব্যবস্থা এতে রয়েছে যাতে বিমানের অনেক অংশ রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অপরিচ্ছন্ন বা এবড়ো-খেবড়ো জমিতেও সহজে অবতরণ করতে পারে এই বিমান। বাংলাদেশে যেভাবে ঝড় বা বন্যা হয়, তার জন্য এই বিমান অত্যন্ত কার্যকরী। ইউকে-র রয়্যাল এয়ারফোর্সও এই বিমান ব্যবহার করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে আছে সেই বিমানেরইি আধুনিক ভার্সান। সেই বিমানেই ভারতে আসেন হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে সেই বিমান বাংলাদেশের দিকে রওনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।