TV9 Explained: চিনের ‘প্রেসিডেন্ট’ আর ‘প্রিমিয়ার’ পদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কে বেশি শক্তিশালী?

Chinese premier and president: শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বদলে চিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেই দেশের প্রিমিয়ার লি কিয়াং। এই অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এই প্রিমিয়ার পদটি নিয়ে। কী এই পদের গুরুত্ব? কতটা ক্ষমতা রয়েছে চিনা প্রিমিয়ারের?

TV9 Explained: চিনের প্রেসিডেন্ট আর প্রিমিয়ার পদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কে বেশি শক্তিশালী?
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রিমিয়ার লি কিয়াংImage Credit source: AFP

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Sep 05, 2023 | 11:57 AM

বেজিং: আগামী সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলার পর, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর), বেজিং সরকারিভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বদলে চিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেই দেশের প্রিমিয়ার লি কিয়াং। এই অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এই প্রিমিয়ার পদটি নিয়ে। কী এই পদের গুরুত্ব? কতটা ক্ষমতা রয়েছে চিনা প্রিমিয়ারের?

গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সংবিধান অনুযায়ী, সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে যে পদে রয়েছেন শি জিনপিং। আর সরকারের প্রধান হলেন প্রিমিয়ার বা প্রধানমন্ত্রী। যে পদে রয়েছেন লি কিয়াং। সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্ব সীমিত এবং বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই তাঁর ক্ষমতা সংরক্ষিত। অর্থাৎ, তিনি সুপারিশ করতে পারেন মাত্র। অন্যদিকে, প্রিমিয়ারের হাতে সরকারে নির্বাহী অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে, চিনা চিনা রাজনৈতিক ব্যবস্থার এক এমন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সচরাচর পশ্চিমী দেশগুলিতে তো বটেই, এমনকি কমিউনিস্ট ব্যবস্থাতেও দেখা যায় না।

বস্তুত, প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের সময় থেকে, প্রেসিডেন্ট পদটিই চিনের সবথেকে ক্ষমতাধর পদ হয়ে ওঠে। কারণ সেই সময় থেকে প্রোটোকল অনুযায়ী, দেশের প্রেসিডেন্ট একই সঙ্গে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব এবং সিসিপি সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান পদেও আসীন হন। এই দুই পদ সবথেকে শক্তিশালী। কারণ সেই দেশে কমিউনিস্ট পার্টিই সরকারের নিয়ন্ত্রক শক্তি এবং সরকারের ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করে সামরিক বাহিনী। থাকায় কলমে, চিনা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটির ৭ সদস্যের সমান। তবে, তিনিই কমিটিতে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। আর এই পলিটব্যুরোই চিনের সমস্ত ক্ষমতা এবং নীতির উৎস।

অন্যদিকে, প্রিমিয়ার হলেন স্টেট কাউন্সিল বা চিনের মন্ত্রিসভার প্রধান। মন্ত্রীদের এবং সরকার চালানো তাঁর দায়িত্ব। তবে, তিনি বলতে গেলে সরকার চালানোর যন্ত্র ছাড়া কিছু না। নীতি নির্ধারণ, সামরিক নিয়ন্ত্রণ, প্রচার, কর্মীদের সংগঠিত করার মতো কোনও ক্ষমতাই তাঁর নেই। এই সব ক্ষমতাই থাকে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে, বা, বলা ভাল প্রেসিডেন্টের হাতে। পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটিতে অবশ্য প্রিমিয়ার কে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্টের পরের শক্তিমান ব্যক্তিটিই হলেন প্রিমিয়ার।