ওয়াশিংটন: পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশ হত্যার চেষ্টা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন তিনি। রবিবার (১৪ জুলাই), ট্রাম্পের উপর এই হামলার পর, সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা এবং ট্রাম্পের সন্তানরা বেশ কিছু বার্তা পাঠিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। মৃত্যু হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ট্রম্পের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের সন্তানরা। কিন্তু মেলানিয়া ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনও বার্তা আসেনি।
বস্তুত, হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বার প্রবেশের ইচ্ছেয়, ট্রাম্প বর্তমানে যে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন, তার কোথাও মেলানিয়াকে দেখা যায়নি। প্রচারের আলো থেকে সাত হাত দূরে আছেন তিনি। প্রকাশ্যে তাঁকে দেখাই যাচ্ছে না। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপার টিউসডে ভিক্ট্রি পার্টি দিয়েছেন। গত মাসে তার ৭৮তম জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষ্যেও পার্টি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এই সকল গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মেলানিয়া ট্রাম্পকে। এমনকি, নিউইয়র্কে এক মাস ধরে অর্থের বিনিময়ে মুখ বন্ধ রাখার মামলার বিচার চলাকালীনও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর সঙ্গে দেখা যায়নি মেলানিয়াকে। আজ, পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলা হওয়ার পরও তাঁর কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
কোথায় গেলেন মার্কিুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি? শোনা যাচ্ছে, বেশিরভাগ সময় তিনি হয় ফ্লোরিডার পাম বিচে বা নিউ ইয়র্ক সিটির মার-এ-লাগোতে আছেন। তাঁর ছেলে ব্যারন, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তাঁর সঙ্গেই আছেন মেলানিয়া বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন রয়েছে। সেখানে যোগ দিতে পারেন আমেরিকার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি, মেলানিয়া। মেলানিয়া কোনও বার্তা না দিলেও, ট্রাম্পের চার সন্তানই তাদের বাবার পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বাবার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
মেলানিয়াকে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দেখা যাচ্ছে না, সেই সময় তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্পের প্রাক্তন স্ত্রী, মার্লা মেপলস। ট্রাম্পের প্রচারে তিনি সহায়তা করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছেন। ১৯৯৩ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দুজনের এক মেয়েও আছে, টিফানি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টিকেছিল ট্রাম্পের এই বিয়ে। ২০ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে ট্রাম্পকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পেক ২০১৬ সালের প্রচারের সময়, ৬০ বছর বয়সী প্রাক্তন অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।