Nuclear war: পাকিস্তানের থেকে ৬টি কম ভারতের, কোন দেশের হাতে কয়টি পরমাণু অস্ত্র আছে?

Nuclear weapons: বুধবারও ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে তৈরি মস্কো। অন্যদিকে, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উপর পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনও। ভারত ও পাকিস্তান, দুই যুযুধান দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায়, এই দুই দেশের সংঘাত থেকেও পরমাণু হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

Nuclear war: পাকিস্তানের থেকে ৬টি কম ভারতের, কোন দেশের হাতে কয়টি পরমাণু অস্ত্র আছে?
শিল্পীর চোখে পারমাণবিক হামলাImage Credit source: Pixabay

Mar 14, 2024 | 9:45 AM

নয়া দিল্লি: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে পরমাণু যুদ্ধের দামামা শোনা যাচ্ছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বারংবার পরমাণু হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বুধবারও ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে তৈরি মস্কো। অন্যদিকে, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উপর পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনও। ভারত ও পাকিস্তান, দুই যুযুধান দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায়, এই দুই দেশের সংঘাত থেকেও পরমাণু হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এই নিবন্ধে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পৃথিবীর বুকে বর্তমানে কয়টি পরমাণু অস্ত্র রয়ছে এবং কোন দেশের ভান্ডারে আছে কয়টি পরমাণু অস্ত্র?

বর্তমানে বিশ্বের ৯টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তারা হল – রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, পাকিস্তান, ভারত, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়া। সব মিলিয়ে এই নয়টি দেশের হাতে রয়েছে মোট ১২,৭০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড। এর মধ্যে ৯,৪০০টি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে, অর্থাৎ, চাইলে যে কোনও সময় ব্যবহার করা যেতে পরে। কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলির কাছে প্রায় ৭০,০০০ পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। তার তুলনায় এবর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্রে সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। তবে, আজকের পরমাণু অস্ত্রগুলি অনেক বেশি শক্তিশালী। গত কয়েক বছরে যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে, আগামী দশকে পারমাণবিক অস্ত্রাগারের ভান্ডার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক কার কাছে কয়টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। সম্মিলিতভাবে যে ১২,৭০০ পরমাণু অস্ত্র রয়েছে পৃথিবীতে, তার ৯০ শতাংশই রয়েছে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। রাশিয়ার কাছে সবথেকে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ৫,৯৯৭টি। আর আমেরিকার হাতে রয়েছে ৫,২২৪টি পরমাণু অস্ত্র।

উত্তর কোরিয়া এবং ইজরায়েলের মোট পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। তারা পরমাণু শক্তিধর বলে নিজেদের ঘোষণা করেনি। যাইহোক, অনুমান করা হয়, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৪০-৫০টি পৃথক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। আর সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে ৩০টি পরমাণু অস্ত্র। ইজরায়েলের কাছে ২০০টি অস্ত্র তৈরির উপাদান রয়েছে। বর্তমানে, তৈরি হওয়া অবস্থায় আছে আনুমানিক ৯০টি ওয়ারহেড।


এবার আসা যাক, ভারত এবং ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গে। চিনের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ৪১০টি। আর পাকিস্তানের হাতে ১৭০টি। ভারতের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা, পাকিস্তানের থেকে ৬টি কম, ১৬৪টি। ইউরোপের দুই দেশ, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা যথাক্রমে ২৯০ এবং ২২৫। এই প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক অস্ত্রের বেশিরভাগই কিন্তু, হিরোশিমাতে ফেলা পারমাণবিক বোমার থেকে বহুগুণ বেশি শক্তিশালী।

এই ৯ পরমাণু শক্তিধর দেশের পাশাপাশি, বত্রিশটি অন্যান্য দেশও পারমাণবিক যুদ্ধের সমস্যার অংশ। এর মধ্যে ৫টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্র হোস্ট করে। অর্থাৎ, তাদের নিজেদের পরমাণু অস্ত্র না থাকলেও, অন্য দেশের পরমাণু অস্ত্র রাখার জন্য তারা দেশের মাটি ব্যবহার করতে দিয়েছে। তুরস্ক, ইটালি, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস – এই পাঁচ দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ওয়ারহেড রাখা আছে প্রয়োজন মতো ব্যবহারের জন্য। আর আরও ২৭টি দেশ পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারকে সমর্থন করে। তারা হল – আলবেনিয়া, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, জাপান, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টেনিগ্রো, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, এবং সুইডেন।