নয়া দিল্লি : ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা তিনগুণ বেশি। ওমিক্রনের বৈশিষ্ট্যগুলি পুরোপুরি জানতে এখনও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার শতকরা কত তা জানতে, আরও দু-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর সতর্কতা, শিশুদের করোনার টিকা এখনও পর্যাপ্ত নয়। সংক্রমণ বাড়লে শিশুদের আক্রান্তের হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তিনি।
স্বামীনাথন আশঙ্কা করেছেন, সংক্রমণের ৯০ দিন পরে আবারও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ওমিক্রন। এই পুনরায় সংক্রমণের ক্ষমতা ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ডেল্টার তুলনায় তিনগুণ বেশি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত বাড়ছে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, সে দেশে আরও বেশি শিশু এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আরও বেশি করে পরীক্ষা করছে।
শিশুদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য খুব বেশি কোভিড -১৯ টিকা এখন উপলব্ধ নেই এবং শুধুমাত্র কয়েকটি দেশই এখন শিশুদের টিকা দিচ্ছে। শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। সৌম্যা স্বামীনাথনের আশঙ্কা, “সংক্রমণ একবার লাগামছাড়া হলে শিশু এবং টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। আমরা এখনও শিশুদের উপর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব কেমন হতে পারে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।”
উল্লেখ্য, বি.১.১.৫২৯ বা ওমিক্রনকে ‘কনসার্ন অব ভ্যারিয়েন্ট’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তার কারণ, অতিরিক্ত মাত্রায় ওমিক্রনের মিউটেশন ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে বলে আশঙ্কা হু-র বিজ্ঞানীদের। আফ্রিকায় ওমিক্রমনের সংক্রমণ যা ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে বলে দাবি তাদের। গোটা বিশ্বে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। পাশাপাশি, আর একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, করোনার সাধারণ উপসর্গ থেকে আলাদা ওমিক্রনের উপসর্গ। এর ফলে ওমিক্রনের গতিবিধি সম্পর্কেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। ওমিক্রনের মৃত্যুর হার এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ওমক্রিনের সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি তার প্রমাণ মিলেছে।
ওমিক্রনের উপর আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আগামী দিনগুলিতে আমাদের হাতে চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও প্রভাবিত করতে পারে। তাদের বক্তব্য, সংক্রমণ টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও হতে পারে। যদি তা অনুপাতে অনেকটাই কম বলে অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন : Sanjay Raut backs Rahul Gandhi: মমতা নয়, বিরোধী জোটের নেতৃত্বে রাহুলকেই চায় শিবসেনা