Donald Trump: যেন পাগলা ঘোড়া ছুটছে! আদালতকেই নিষিদ্ধ করে দিলেন ট্রাম্প

Donald Trump: ট্রাম্পের কৌশলী পদক্ষেপে ক্যারিবিয়ান সাগরে চিনের পা রাখার চেষ্টাও জলে গেল। উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে রয়েছে আলাদা একটা অঞ্চল

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Feb 09, 2025 | 4:28 PM

একের পর এক খেল দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। রোজই কিছু না কিছু খবর। আর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সব পদক্ষেপ করছেন যে সেই সব খবরই হেডলাইন। এতদিন আমরা জানতাম যে আদালতের নির্দেশ আমাদের মাথা নিচু করে মানতে হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ সমস্ত দেশকেও মানতে হয়। ট্রাম্প এবার উল্টে আন্তর্জাতিক আদালতকেই আমেরিকায় নিষিদ্ধ করে দিলেন।

আন্তর্জাতিক আদালত কী?

আন্তর্জাতিক আদালত হল দুটো। International Court of Justice আর International Criminal Court। দুটোই আছে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে। International Court of Justice নানা দেশের মধ্যে আইনি বিবাদ মেটায়। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে এই আদালত তৈরি হয়েছিল ১৯২০ সালে। আর International Criminal Court যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো ঘটনায় ব্যক্তিবিশেষের বিচার করে। এই আদালত তুলনায় অনেক নবীন। তৈরি হয়েছে ২০০২ সালে।

কেন ট্রাম্পের গাত্রদাহ?

ইউক্রেন ও গাজা-যুদ্ধের জন্য কিছুদিন আগেই International Criminal Court-এর নির্দেশে পুতিন ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির সময় আদালত আমেরিকার বিরুদ্ধেও তাদের সমালোচনা-ভরা পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। কারণ, আমেরিকার সাহায্য নিয়েই গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইজরায়েল। নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। আর তারপরই ট্রাম্প লিখিত অর্ডারে জানিয়ে দেন আমেরিকায় International Criminal Court-কে ব্যান করছেন তিনি।

নিষিদ্ধর সঙ্গে শাস্তিও

আদালতের ১৮ জন বিচারপতি যাঁরা ১৮টা আলাদা আলাদা দেশের নাগরিক, আদালতের সব কর্মী ও তাঁদের পরিবারের আমেরিকায় থাকা যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে মার্কিন সরকার। এঁরা কেউ আমেরিকায় ঢোকার কোনওরকম ভিসা পাবেন না। গাজা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় যাঁরা এই বিচারপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। আইসিসির ওপরে স্যাংশন জারি করেই ট্রাম্প থামেননি। বলতে পারেন রাজনৈতিক সৌজন্যের তোয়াক্কা না করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপরও স্যাংশন করে দিয়েছেন তিনি।

বাইডেনের উপর নিষেধাজ্ঞা

আমেরিকার নিয়ম হল, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা যতদিন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন, ততদিন তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। বিভিন্ন ফেডারাল এজেন্সি এ বিষয়ে নিয়মিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের ব্রিফ করে। ট্রাম্প অর্ডার জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর আমলে জো বাইডেন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও গোপন তথ্য পাবেন না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, জো সব ভুলে যায়। ও জাতীয় নিরাপত্তার খবর জানলে বিপদ। তাই ওকে আর কিছু জানান হবে না। ২০২০ সালে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালিয়েছিলেন। তখন বাইডেন বলেছিলেন যে এই ঘটনা প্রমাণ করে ট্রাম্প
আর রাষ্ট্রের গোপন তথ্য জানান উপযুক্ত নন। তাই ওঁকে আর কিছু জানানো হবে না। গদি উল্টে যেতেই ট্রাম্প তার বদলা নিলেন।

চিনকে ভাল করে চিনে নিচ্ছেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের কৌশলী পদক্ষেপে ক্যারিবিয়ান সাগরে চিনের পা রাখার চেষ্টাও জলে গেল। উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে রয়েছে আলাদা একটা অঞ্চল। ২ মহাদেশের সঙ্গে ঠিক সরু সুতোর মতো জুড়ে আছে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা। এছাড়া পাশে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কিউবা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পুয়ের্তো রিকোর মতো দ্বীপরাষ্ট্র। এই দেশগুলোর পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। দুই মহাসাগরকে জুড়েছে পানামার মধ্যে দিয়ে যাওয়া পানামা খাল। একদম সুয়েজ খালের মতোই।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি সেনা পাঠিয়ে পানামা খালের দখল নেবেন। কারণ, পানামা নাকি মার্কিন জাহাজগুলোর থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। পানামা এইদিকে আবার এই অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসাবে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে নাম লেখায়। এটা পরিষ্কার যে পানামাকে হাতে নিয়ে চিন ক্যারিবিয়ান সাগরে পা রাখতে চাইছিল। তো ট্রাম্পের চাপের মুখে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা চিনের এই প্রকল্পে আর থাকছেন না। জোর ধাক্কা খেয়ে চিন এখন বলছে যে আমেরিকা আবার ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আসলে কী জানেন চিন আর আমেরিকার মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব অনেকটা বেশি হলেও প্যাসিফিকে চিনের মিসাইলের আওতায় থাকা মার্কিন সেনা ঘাঁটি গুয়াম নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকে ওয়াশিংটন। সেখানে একেবারে নাকের ডগায় ক্যারিবিয়ান সাগরে চিন ঢুকে পড়লে ট্রাম্পের ঘুম তো ছুটবেই।

একের পর এক খেল দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। রোজই কিছু না কিছু খবর। আর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সব পদক্ষেপ করছেন যে সেই সব খবরই হেডলাইন। এতদিন আমরা জানতাম যে আদালতের নির্দেশ আমাদের মাথা নিচু করে মানতে হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ সমস্ত দেশকেও মানতে হয়। ট্রাম্প এবার উল্টে আন্তর্জাতিক আদালতকেই আমেরিকায় নিষিদ্ধ করে দিলেন।

আন্তর্জাতিক আদালত কী?

আন্তর্জাতিক আদালত হল দুটো। International Court of Justice আর International Criminal Court। দুটোই আছে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে। International Court of Justice নানা দেশের মধ্যে আইনি বিবাদ মেটায়। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে এই আদালত তৈরি হয়েছিল ১৯২০ সালে। আর International Criminal Court যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো ঘটনায় ব্যক্তিবিশেষের বিচার করে। এই আদালত তুলনায় অনেক নবীন। তৈরি হয়েছে ২০০২ সালে।

কেন ট্রাম্পের গাত্রদাহ?

ইউক্রেন ও গাজা-যুদ্ধের জন্য কিছুদিন আগেই International Criminal Court-এর নির্দেশে পুতিন ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির সময় আদালত আমেরিকার বিরুদ্ধেও তাদের সমালোচনা-ভরা পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। কারণ, আমেরিকার সাহায্য নিয়েই গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইজরায়েল। নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। আর তারপরই ট্রাম্প লিখিত অর্ডারে জানিয়ে দেন আমেরিকায় International Criminal Court-কে ব্যান করছেন তিনি।

নিষিদ্ধর সঙ্গে শাস্তিও

আদালতের ১৮ জন বিচারপতি যাঁরা ১৮টা আলাদা আলাদা দেশের নাগরিক, আদালতের সব কর্মী ও তাঁদের পরিবারের আমেরিকায় থাকা যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে মার্কিন সরকার। এঁরা কেউ আমেরিকায় ঢোকার কোনওরকম ভিসা পাবেন না। গাজা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় যাঁরা এই বিচারপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। আইসিসির ওপরে স্যাংশন জারি করেই ট্রাম্প থামেননি। বলতে পারেন রাজনৈতিক সৌজন্যের তোয়াক্কা না করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপরও স্যাংশন করে দিয়েছেন তিনি।

বাইডেনের উপর নিষেধাজ্ঞা

আমেরিকার নিয়ম হল, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা যতদিন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন, ততদিন তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। বিভিন্ন ফেডারাল এজেন্সি এ বিষয়ে নিয়মিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের ব্রিফ করে। ট্রাম্প অর্ডার জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর আমলে জো বাইডেন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও গোপন তথ্য পাবেন না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, জো সব ভুলে যায়। ও জাতীয় নিরাপত্তার খবর জানলে বিপদ। তাই ওকে আর কিছু জানান হবে না। ২০২০ সালে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালিয়েছিলেন। তখন বাইডেন বলেছিলেন যে এই ঘটনা প্রমাণ করে ট্রাম্প
আর রাষ্ট্রের গোপন তথ্য জানান উপযুক্ত নন। তাই ওঁকে আর কিছু জানানো হবে না। গদি উল্টে যেতেই ট্রাম্প তার বদলা নিলেন।

চিনকে ভাল করে চিনে নিচ্ছেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের কৌশলী পদক্ষেপে ক্যারিবিয়ান সাগরে চিনের পা রাখার চেষ্টাও জলে গেল। উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে রয়েছে আলাদা একটা অঞ্চল। ২ মহাদেশের সঙ্গে ঠিক সরু সুতোর মতো জুড়ে আছে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা। এছাড়া পাশে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কিউবা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পুয়ের্তো রিকোর মতো দ্বীপরাষ্ট্র। এই দেশগুলোর পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। দুই মহাসাগরকে জুড়েছে পানামার মধ্যে দিয়ে যাওয়া পানামা খাল। একদম সুয়েজ খালের মতোই।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি সেনা পাঠিয়ে পানামা খালের দখল নেবেন। কারণ, পানামা নাকি মার্কিন জাহাজগুলোর থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। পানামা এইদিকে আবার এই অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসাবে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে নাম লেখায়। এটা পরিষ্কার যে পানামাকে হাতে নিয়ে চিন ক্যারিবিয়ান সাগরে পা রাখতে চাইছিল। তো ট্রাম্পের চাপের মুখে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা চিনের এই প্রকল্পে আর থাকছেন না। জোর ধাক্কা খেয়ে চিন এখন বলছে যে আমেরিকা আবার ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আসলে কী জানেন চিন আর আমেরিকার মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব অনেকটা বেশি হলেও প্যাসিফিকে চিনের মিসাইলের আওতায় থাকা মার্কিন সেনা ঘাঁটি গুয়াম নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকে ওয়াশিংটন। সেখানে একেবারে নাকের ডগায় ক্যারিবিয়ান সাগরে চিন ঢুকে পড়লে ট্রাম্পের ঘুম তো ছুটবেই।