Donald Trump: ট্যারিফ নিয়ে সুর নরম করতে বাধ্য একগুঁয়ে ট্রাম্পও, কী এমন হল রাতারাতি?
Donald Trump-Tariffs: ট্রাম্পের দাবি, ৭৫টিরও বেশি দেশ শুল্ক বা ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে। তবে কি এর জন্যই ট্য়ারিফে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করলেন? সূত্র কিন্তু বলছে অন্য কথা।

ওয়াশিংটন: সত্যিই অসম্ভবকে সম্ভব করেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসতেই হুমকি দিয়েছিলেন অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক চাপাবেন। সেই কথা মতো শুল্কও চাপিয়েছেন। ৯ এপ্রিল থেকে সেই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ২৪ ঘণ্টা আগেও এই সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন ট্রাম্প। রাতারাতি কী হল, হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে তিন মাসের জন্য ট্যারিফে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করলেন?
বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে আপাতত ৯০ দিনের জন্য ট্যারিফের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। এই ৯০ দিনের সময়কালে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে ভারত সহ একাধিক দেশের কাছ থেকে। শুধুমাত্র চিনকে ছাড় দেওয়া হয়নি শুল্ক থেকে। বরং তাদের উপরে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, ৭৫টিরও বেশি দেশ শুল্ক বা ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে। তবে কি এর জন্যই ট্য়ারিফে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করলেন? সূত্র কিন্তু বলছে অন্য কথা।
কেন শুল্কে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ক ঘোষণা করার পর থেকেই বিশ্ব বাজারে ধস নেমেছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত সহ এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলিতে ভয়ঙ্কর ধস নেমেছে। বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা নিয়েও সতর্ক করেছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। তারপরও জোর গলায় ট্রাম্প বলেছেন, “আমার নীতি বদলাবে না”।
তবে সূত্রের খবর, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট সতর্ক করার কারণেই সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, বন্ড মার্কেটে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন। তারপরই ট্যারিফে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপরিকল্পিত স্ট্রাটেজি নয়, বরং ট্যারিফ নিয়ে হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারফলেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে বন্ড বিক্রি শুরু হতেই কিছুটা হলেও সতর্ক হয়েছেন ট্রাম্প।
অন্য়দিকে, ট্যারিফে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করতেই হাল ফিরেছে ওয়াল স্ট্রিটেও। ডাও ইনডেক্স ২৫০০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ন্যাসডাক ১২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

