AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Husband-Wife: স্বামী স্নান করেন না, দাঁত মাজেন না, আদালতে গেলেন স্ত্রী

Husband-Wife: তবে ওই মহিলা একাই নয়, যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই ব্যক্তির অফিসের সহকর্মীরাও একই দাবি করেছেন আদালতে। তাঁরা জানিয়েছেন ঘামের গন্ধে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা কার্যত অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।জানা গিয়েছে, মহিলা আঙ্কারার পরিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। কোর্টে সাক্ষী দিতে তিনি এলাকার কয়েক বাসিন্দাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরাও আদালতে গিয়ে সেই একই কথা বলেছেন।

Husband-Wife: স্বামী স্নান করেন না, দাঁত মাজেন না, আদালতে গেলেন স্ত্রী
স্বামী স্নান করেন না, আদালতে গেলেন স্ত্রীImage Credit: pixhub
| Updated on: Feb 05, 2024 | 11:27 AM
Share

তুরস্ক: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি হয়ই। কখনও কখনও মারামারিও হয়। কখনও সেই অশান্তি এতটাই বাড়ে যে ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয়। কিন্তু তুরস্কের এক মহিলা স্বামীর কাছে যে কারণে ডিভোর্স চেয়েছেন তা শুনলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। ওই মহিলা আদালতে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী স্নান করেন না। দাঁত মাজেন না। সেই কারণে তাঁর শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এক সঙ্গে কোনও ভাবেই থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণে ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা।

তুরস্কের একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ.ওয়াই নামের এক মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে স্নান করেন না। একই পোশাক পরে কাটিয়ে দেন দিনের পর দিন। তিন-চারদিন ছাড়া-ছাড়া দাঁত মাজেন। সেই কারণে তার শরীর থেকে অসহ্য দুর্গন্ধ বের হয়। যার জন্য তাঁর কাছে আসা কার্যত কঠীন হয়ে পড়ে।

তবে ওই মহিলা একাই নয়, যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই ব্যক্তির অফিসের সহকর্মীরাও একই দাবি করেছেন আদালতে। তাঁরা জানিয়েছেন ঘামের গন্ধে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা কার্যত অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জানা গিয়েছে, মহিলা আঙ্কারার পরিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। কোর্টে সাক্ষী দিতে তিনি এলাকার কয়েক বাসিন্দাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরাও আদালতে গিয়ে সেই একই কথা বলেছেন। ওই ব্যক্তি সত্যিই খুব নোংরাভাবে জীবনযাপন করেন। মহিলার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বসবাস করা এবং তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। কিন্তু যদি তারা তা না করে, তবে অন্য পক্ষের বিচ্ছেদ চাওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।

উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের পর আদালত বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেন। এছাড়াও, অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের জন্য ওই ব্যক্তিকে তিরস্কারও করে। এবং মহিলাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০০,০০০ তুর্কি লিরা অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ ৬৯ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।