
ঢাকা: বাংলাদেশে এখন হাই অ্যালার্ট। এক সপ্তাহ হতে চলল খোঁজ মেলেনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরনো পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করা হয় হাদিকে। মাথায় গুলি লাগায় গুরুতর আহত হন হাদি। এরপর ছ’দিনের মাথায় মৃত্যু। তারপরই বাংলাদেশ জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শুটার ফয়সাল করিম মাসুদের। হাদি হত্যাকাণ্ডে তিনি মূল অভিযুক্ত। তবে আপাতত পলাতক। তাঁকে হন্যি হয়ে খুঁজছে বাংলাদেশের পুলিশ। হাদিকে গুলির ঘটনার পরেই ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও এক বান্ধবীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশের আদালত। গত বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন হাদির বাবা-মাও। তারপরই জেলবন্দি করা হয়েছে তাঁদেরও।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাদিকে গুলির আগের রাতেই বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে বড় কথা বলেছিলেন ফয়সাল। সেদিন মারিয়ার সঙ্গেই একটি রিসোর্টে রাত কাটিয়েছিলেন ফয়সাল। নিজের বান্ধবীকে মূল অভিযুক্ত জানিয়েছিলেন, ‘আগামিকাল এমন কিছু হবে, সারাদেশ কাঁপবে।’ পরদিনই দুপুর নাগাদ ঢাকার রাজপথে গুলি করা হয় ওসমান হাদিকে।
গোপন জবানবন্দিতে ফয়সালের বাবা-মা জানিয়েছেন, তাঁর সমস্ত অপকর্ম সম্পর্কে তাঁরা অবগত ছিলেন। ফয়সালের মোট তিনটি বিয়ে। একটি বান্ধবী রয়েছে তাঁর। এমনকি ঘটনার দিন রাতে বাবার কাছে গিয়ে তিনটি অস্ত্র রেখে আসে সে। এরপর বাইকর নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে সেটিকে বাড়িতে রেখে অটো রিকশায় উঠে চলে যায়।