ওয়াশিংটন: এই বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের (Universe) অনেক কিছুই আমাদের অজানা। আমাদের ধ্যান ধারণা সবই এই পৃথিবীর অভ্যন্তেরই সীমাবন্ধ। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পৃথিবীর বাইরেও অন্তরীক্ষে রয়েছে এক সুবিশাল দুনিয়া। বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হলেও বিজ্ঞানের এখনও অনেক সীমাবন্ধতা রয়েছে, তাই অনেক কিছুই এখনও মনুষ্যজাতির অজানাই রয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর ছাড়াও আরও অনেকগুলি গ্রহ রয়েছে, সেই কথা আমরা স্কুল জীবন থেকে জানি। তবে সেই গ্রহগুলিতে পৃথিবীর মতো আদৌ প্রাণের কোনও অস্তিত্ব আছে কিনা সেকথা এখনও জোরালভাবে কেউ বলতে পারবেন না। সাধারণত হলিউড সিনেমাত ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের (Alien) সম্পর্কে আমাদের একটি ধারণা দিয়েছে ঠিকই, তবে সেই ধারণাও কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েই যায়। তবে সম্প্রতি এমনক এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে সাধারণ মানুষ তো বটেই বিজ্ঞানীদের চোখও কপালে উঠে গিয়েছে। দ্য সানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের (Pentagon) বেশ কিছু নথিতে দাবি করা হয়েছে এলিয়েনের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হয়ে এক মহিলা গর্ভবতী হয়েছেন।
পেন্টাগনের রিপোর্টে বিভিন্ন ‘প্যারানরমাল’ বা ভৌতিক অভিজ্ঞতারও উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই ওই এক মহিলার গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে। এলিয়েনের সঙ্গে যৌন সঙ্গে গর্ভবতী হওয়া মহিলা শারীরিক পরিবর্তনের বিভিন্ন তথ্যও ওই পেন্টাগনের রিপোর্টে রয়েছে বলেই দাবি করেছে দ্য সান। আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লালিং অবজেক্ট বা ইউএফও সংক্রান্ত একটি রিপোর্টের একটি অংশে এক মহিলার গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে বলা বলা হয়েছে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ইউএফও-র বিকিরণে আহত বা মস্তিষ্কের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী তাদের স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছিল ভিনগ্রহীদের আকর্ষণ করতে মহাকাশে মানুষের নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিল নাসা। নাসার বিজ্ঞানী জোনাথন জিয়াং এবং তার অন্য সহকর্মী বিজ্ঞানীরা ‘বিকন ইন দ্য গ্যালাক্সি’ শীর্ষক রিপোর্টে এই কথা জানিয়েছিলেন। বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল মানুষের নগ্ন ছবি দেখে এলিয়েনরা আকর্ষিত হতে পারে। ফলে তাদের পরীক্ষা যদি সফল হয় তবে পৃথিবীবাসীদের সঙ্গে ভিনগ্রহীদের যোগাযোগ স্থাপন হতে পারে।