ভ্যালেন্সিয়া: আকস্মিক হড়পা বানে তছনছ স্পেন। ৮ ঘণ্টায় হয়েছে প্রায় সারা বছরের বৃষ্টি। ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। এর মধ্যেই ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে এক আশ্চর্য টিকে থাকার কাহিনি। আকস্মিক বন্যায় তিনদিন ধরে একটি গাড়িতে আটকে পড়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে ওই গাড়িতে ছিল তাঁর স্বামীর বোনের মৃতদেহও। ওই লাশের সঙ্গে গাড়িটিতে তিন দিন ধরে আটকে থাকার পর, অবশেষে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, তাঁর নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বন্যার পর, এখন স্পেন জুড়ে চলছে উদ্ধার ও পূনর্গঠনের কাজ। এরই মধ্যে, উদ্ধারকারীরা বন্যায় ভেঙেচুড়ে যাওয়া বেশ কিছু গাড়ির স্তূপের মধ্য থেকে এক মহিলা কণ্ঠের ক্ষীণ চিৎকার শুনতে পেয়েছিল। ওই চিৎকারের সূত্রধরে, ভাঙাচোরা গড়ির স্তূপের মধ্য থেকে ওই মহিলার সন্ধান পায় তারা। প্রোটেকশন সিভিল নামে এক উদ্ধারকারী সংস্থার সভাপতি, মার্টিন পেরেজ বলেছেন, “তিন দিন পর আমরা একটি গাড়িতে একজনকে জীবিত অবস্থায় পেয়েছি।”
এদিকে, বিপর্যয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণকাজ পরিচালনার জন্য সেনা ও পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ১০,০০০ সেনাকর্মী উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। সেই দেশের ইতিহাসে, শান্তিকালীন সময়ে এতবড় সামরিক অভিযান এর আগে দেখা যায়নি। ফ্রান্স ও পর্তুগাল-সহ, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশই স্পেনকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, স্পেন এখনও অবধি তাদের নিজেদের ক্ষমতার উপরই আস্থা রেখেছে।
এত বড় মাপের বিপর্যয় হলেও, ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণশীল নেতা কার্লোস ম্যাজন দ্বিতীয় স্তরের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে, তার জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এই প্রেক্ষিতে তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছে।