WHO on Monkeypox: ‘এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র’, মাঙ্কিপক্স নিয়ে কোন ভয়ের বার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 28, 2022 | 7:38 PM

WHO on Monkeypox: মে মাসের শুরুতে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ইতিমধ্যেই সে দেশে ৯০ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।অন্যদিকে, স্পেনেও ৯৮ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

WHO on Monkeypox: এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, মাঙ্কিপক্স নিয়ে কোন ভয়ের বার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

জেনেভা: করোনার মতো না হলেও, ক্রমেই বেড়ে চলেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রোগ প্রতিরোধ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত দেশে সাধারণত মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে, তার বাইরেও একাধিক দেশ মিলিয়ে মোট ২১৯ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে আগামিদিনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্মলপক্সের তুলনায় মাঙ্কিপক্স কম গুরুতর হলেও, ইতিমধ্যেই পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ১১টি দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৫৮ সালে প্রথম বানরের দেহেই এই সংক্রমণের খোঁজ মেলে। ১৯৭০ সালে প্রথমে মানবদেহে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ২০০-রও বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আগামিদিনে এই সংক্রমণ আরও বাড়তে চলেছে। বিভিন্ন দেশে অস্বাভাবাবিক গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হু-র তরফে এও জানানো হয়েছে যে, মূলত সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এই সংক্রমণের হদিস মিলছে।

মে মাসের শুরুতে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ইতিমধ্যেই সে দেশে ৯০ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।অন্যদিকে, স্পেনেও ৯৮ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। শুক্রবার পর্তুগালের তরফেও জানানো হয়েছে, সে জেশে ৭৪ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই পুরুষ এবং তাদের বয়স ৪০-র নীচে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যাথা, কাঁপুনিই মাঙ্কিপক্সের প্রধান উপসর্গ। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্মলপক্সের মতোই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের গায়েও ফুসকুড়ি হচ্ছে। এই ফুসকুড়িগুলিই অতি সংক্রামক। সংক্রমণের সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই সংক্রমণে মৃত্যু হার ৩ থেকে ৬ শতাংশ। তবে এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ এর কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে কড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হচ্ছে। প্রতিটি দেশকেই এই রোগ শনাক্তকরণ এবং সংক্রমণ রিপোর্ট করার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

Next Article