World’s dirtiest man: ৫০ বছর পর প্রথম স্নান করেছিলেন, জলই কি ডেকে আনল বিশ্বের নোংরাতম মানুষের মৃত্যু?

World's dirtiest man dies: দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে স্নান না করার জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন "বিশ্বের নোংরাতম মানুষ" হিসেবে। ইরানের বাসিন্দা আমাউ হাজির মৃত্যু হল ৯৪ বছর বয়সে।

World's dirtiest man: ৫০ বছর পর প্রথম স্নান করেছিলেন, জলই কি ডেকে আনল বিশ্বের নোংরাতম মানুষের মৃত্যু?
"বিশ্বের নোংরাতম মানুষ" হিসেবে পরিচিত ছিলেন ইরানের বাসিন্দা আমাউ হাজি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 9:54 AM

তেহরান: তিনি পরিচিত ছিলেন “বিশ্বের নোংরাতম মানুষ” হিসেবে। কারণ ইরানের বাসিন্দা আমাউ হাজি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে স্নান করেননি। মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত রবিবার সেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফারস প্রদেশের দেজগাহ গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এই সাধুর। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। কোনও রোগভোগে নয়, বয়সজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

যৌবনে মানসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন আমাউ হাজি। তারপর থেকে তিনি ভয় পেতেন, স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আর এই ভয়ে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি গায়ে জল বা সাবান লাগাননি। অবিবাহিতও ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে, দীর্ঘ কয়েক দশক পর প্রথমবারের মতো, গ্রামবাসীরা তাঁকে স্নান করিয়েছিলেন। সেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই চলে গেলেন “বিশ্বের নোংরাতম মানুষ”।

আমাউ হাজি থাকতেন একটা ঝুপরিতে

২০১৩ সালে তাঁর এই ব্যতিক্রমী জীবন নিয়ে, “দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অব আমাউ হাজি” নামে একটি ছোট তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। সেই তথ্যচিত্র অনুযায়ী, স্নান না করা হাজি থাকতেনও খুবই নোংরা ভাবে। বাস করতেন একটা ঝুপরিতে। একটি পাইপ পশুর মলমূত্র ঠেসে, তাই দিয়ে ধূমপান করতেন। বিভিন্ন ছবিতে তাঁকে একসঙ্গে একাধিক সিগারেট খেতেও দেখা গিয়েছে।

শুয়ে থাকতেন নোংরার মধ্যেই

হাজির মৃত্যুর পর, তাঁর বেসরকারি রেকর্ডটির অধিকারী হতে পারেন এক ভারতীয় ব্যক্তি। হিন্দুস্তান টাইমসের ২০০৯ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী বারাণসীর শহরের ঠিক বাইরের এক গ্রামের বাসিন্দা কৈলাশ ‘কালাউ’ সিং-ও জীবনের বেশিরভাগ সময় স্নান না করে রয়েছেন। দেশের সব সমস্যার অবসান ঘটানোর চেষ্টায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গায়ে জল লাগাননি তিনি। তার বদলে প্রতি সন্ধ্যায় তিনি “অগ্নি স্নান” করেন। কী এই অগ্নিস্নান? প্রতি সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা তাঁর কাছে আসেন। কালাউ একটি আগুন জ্বালান, গাঁজা সেবন করেন এবং এক পায়ে দাঁড়িয়ে ভগবান শিবের কাছে সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করেন। এই অগ্নিস্নানই তাঁর শরীরের সমস্ত রোগ-জীবাণু মেরে ফেলে বলে দাবি করেছেন কৈলাশ ‘কালাউ’ সিং।