
ঢাকা: হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের ভার গিয়ে পড়ে তদারকি বা অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। দেশকে সাময়িকভাবে দেখভাল করতে, গণঅভ্যুত্থানের জেরে তৈরি হওয়া অস্থিরতা কমাতেই এই সরকার। তবে তদারকি সরকারের আমলে অস্থিরতা কমার পরিবর্তে যে দ্বিগুণ বেড়েছে সেই নিয়েও কোনও দ্বিমত রাখছেন না বাংলাদেশের একাংশের রাজনীতিক।
দেশের পরিস্থিতিকে সামাল দিতে এখন প্রয়োজন নির্বাচন। কিন্তু সে সবই তো ইউনূসের হাতে। আর নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠতেই ‘মুখে যেন কুলুপ আঁটেন’ তিনি। তবে এই ভাবেই বা কতদিন? মাস কয়েক ধরেই বাংলাদেশে ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিএনপি।
তাদের দাবি, যে উদ্দেশ্যে এই তদারকি সরকার নিয়ে আসা হয়েছিল, তা বিন্দু মাত্র পালন করতে পারেনি তারা। তাই এখন প্রয়োজন নির্বাচন। কিন্তু কবে হবে ভোট? অবশেষে সেই নিয়ে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক দফা বৈঠক সেরে ফেলল বিএনপি। বৈঠক শেষে তারা জানাল, ডিসেম্বরের মধ্যেই নাকি হতে পারে নির্বাচন।
সোমবার বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেশের নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে বৈঠকে বসে বিএনপি-র প্রতিনিধি দল। বৈঠকে তাদের তরফে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচনা শেষেই তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা প্রত্যাশা করছি ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি।’
তবে বৈঠকের পর ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের অন্দরে সুর চড়াতে পিছপা হচ্ছে না খালেদা জিয়ার দল। আগামিকাল থেকেই তদারকি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। টানা ৮ দিন ধরে চলবে বিক্ষোভ কর্মসূচি।