
ঢাকা: তিনি অনড় রইলেন নাকি চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিলেন? আপাতত বাংলাদেশের অন্দরে ইউনূসের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনই সব প্রশ্ন। শনিবার সন্ধেয় প্রধান উপদেষ্টার যমুনা বাসভবনে গিয়েছিল দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল BNP। সঙ্গ দিয়েছিল জামাতরাও। ঘণ্টা খানেক চলে বৈঠক। নির্বাচন-সহ দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় উভয় পক্ষের মধ্য়ে।
এদিন সেই বৈঠকের পর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের সব দল প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বে ভরসা ও আস্থা রেখেছে। তার অধীনেই নির্বাচন চেয়েছে তারা। এমনকি, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্য়ে নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাতে সমর্থন জানিয়েছে জামাতরাও।’
নির্বাচন যত টানাপোড়েন লেগেছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে এতে নাক গলাতে হয়েছে খোদ সেনাপ্রধানকেও। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই শুরু যত উত্তেজনা। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন না করিয়ে নিজের হাতে ক্ষমতা রেখে দেওয়া ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তোলে একাংশ।
তবে এদিন প্রেস সচিব সেই অভিযোগকে ধামাচাপা দিয়েই জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, ‘উপদেষ্টা বলেছেন, জুনের মধ্যেই নির্বাচন করাবেন। কোনও মতেই জুন পার হবে না।’ শনির সন্ধেয় ইউনূসের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল দেখে পদ্মা পাড়ের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়েছে একাধিক প্রসঙ্গ। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তবে কি ঘুরপথে সেনাপ্রধানের দেওয়া নির্দেশকেই মাথা পেতে নিলেন ইউনূস? নাকি এটা আপাতত গদি বাঁচানোর কৌশল মাত্র?